বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা PDF | Banglar Utsab Rachana

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

সুপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম বাংলার উৎসব রচনা-টি সম্পর্কে। বাংলার উৎসব রচনা-র জন‍্য তিনটি ভিন্ন ভিন্ন উত্তর প্রদান করা হয়েছে এখান থেকে তোমাদের যে উত্তরটা ভালো লাগবে সেটা পড়বে।

বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা |

প্রথম রচনা :

বাংলার উৎসব রচনা :-

ভূমিকা :

উৎসব বাঙালির প্রাণশক্তির বিকাশ। দৈনন্দিন জীবনের সুখ,গ্লানি,যন্ত্রণা একঘেয়ে দিনযাপন থেকে মুক্তির জন্য ক্লান্ত প্রাণ সন্ধান করে আনন্দ মুখরিত কিছু সুন্দর মুহূর্তের। সুখ বা আনন্দের অনুভূতি একা একা পূর্ণ হয় না নিজের আনন্দ সুখ সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে উপভোগের কল্যাণী ইচ্ছা তখনই জেগে ওঠে। এই ইচ্ছের প্রকাশ হল উৎসব। বঙ্গ প্রকৃতির মধুরিমা আর বাঙালির চিত্র ও প্রাণের প্রসারে উৎসবগুলো হয়ে ওঠে অপরূপ সৌন্দর্যময়।

উৎসবের প্রকারভেদ :

কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ  এক একটা উপলক্ষে আশ্রয় করে বাঙালি আয়োজন করছে নানান উৎসবের। জাতীয় উৎসব, সামাজিক ও পারিবারিক উৎসব, ধর্মীয় উৎসব,ঋতু উৎসব ইত্যাদি সঙ্গে বাঙালির চিত্র আধুনিক সময়ের কিছু উৎসবকেও একাত্ম করে নিয়েছে। পারিবারিক উৎসব সেখানে সামাজিকতা পেয়েছে রাষ্ট্রীয় উৎসব হয়ে উঠেছে জাতীয় উৎসব।

জাতীয় উৎসব :

বিভিন্ন রকম জাতীয় উৎসবে বাঙালি মুখরিত হয়  যেমন ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজীর জন্মদিন, ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস, ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস, 2  অক্টোবর মহাত্মা স্মরণে, ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস, ১৪ই এপ্রিল আম্বেদকর দিবস প্রভৃতি। বাঙালি প্রাণের ঐতিহ্য রবীন্দ্র জন্মোৎসবকে জাতীয় উৎসবের মর্যাদা প্রদান করেছে।  সর্বজাতিক ভারতের চরিত্রধর্মে ঐক্যবদ্ধবাঙালিও। তাই এই বিভিন্ন রকম উৎসব পালনে তার জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রকাশিত হয়।

বাৎসরিক উৎসব :

বছরের প্রারম্ভেই পয়লা বৈশাখের পূণ‍্যবাসরে বাঙালির হালখাতা। নববর্ষ পালনের পর ক্রমে দোলযাত্রা, রথযাত্রা, মনসা পূজা, শীতলা পূজা, গণেশ পূজা, কার্তিক পূজা, সরস্বতী-লক্ষ্মী পূজা, শিব রাত্রি, মহরম, সবেবরাত, নবী উৎসব, ঈদ  ইত্যাদি সারা বছর ধরে পালন করে থাকে উৎসব গুলি বাঙালিরা।

ধর্মীয় উৎসব :

ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ দু’রকম উৎসবেই বাঙালির প্রাণ প্রবাহের তীব্রতার সুবিদিত ধর্মীয় উৎসবগুলোর সঙ্গে এসে মিলে যায় আদি অকৃত্রিম লৌকিক উৎসবগুলিও। কখনো পূণ‍্যিপুকুর, পুষ্পমালা,কখনও ইতুর ঘট,কখনও ভাদু-টুসু উৎসব, কখনও পাতা পরব,করম পরব।  বাঙালির ধর্মীয় উৎসবের লোক উৎসব মিলেমিশে  রয়েছে। বাসন্তী পূজা, রটন্তী পূজা, অন্নপূর্ণা পূজা,মঙ্গলচন্ডী, বিপত্তারিণী প্রভৃতির উৎসব নানা রূপে মাতৃ আরাধনা করলেও অকালবোধিতা দেবী দুর্গার উৎসবই শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় বাংলার উৎসব।

দুর্গোৎসব :

আনন্দময়ীর আগমনবার্তায় শরৎ ঋতু  প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে। আকুল প্রাণ বাঙালি ঘরের বিবাহিত কন্যাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি আনতে সারা বছর অপেক্ষা নিয়ে উদগ্ৰীব থাকে। মনে মনে ভেবে নেয় “গিরি, এবার আমার উমা এলে, আর উমা পাঠাবো না বলে বলবে লোকে মন্দ, কার কথা শুনবো না।” মহালয়ার পিতৃতর্পণ করে বাঙালি মহিষাসুরমর্দিনীর বন্দনায় লিপ্ত হয়। আলো ঝলমলে দিনরাত, শিউলি ফুলের গন্ধ, ঢাকের আওয়াজ, নতুন জামা দশভূজার আগমনে বাঙালি জাতি প্রায় নতুন এক প্রাণ। পরদিনের মহোৎসবে মায়ের সঙ্গে আসা কার্তিক-গণেশ-লক্ষ্মী- সরস্বতী ও মহানন্দে পূজা পায়। পূজার মন্ডপে মৃদু হাসি মুখে স্বয়ং মহাদেব দেবাদিদেবও।

বিজয়ার ব্যথা ভুলে যাওয়ার আগেই আশে লক্ষী দেবীর পুজা। তারপর ভূত চতুর্দশী।চোদ্দো শাক, চোদ্দো প্রদীপে রাঙিয়ে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে বাঙালি মত্ত হয় শ্যামামায়ের রাঙা চরণে রক্তজবার আহুতি দিয়ে। একই সঙ্গে চলে আসে ভাইফোঁটার শুভ দিন। একে একে আসে ঈদ, পৌষ পার্বণ, নবান্ন, বাগদেবীর আরাধনা এবং বসন্ত উৎসবের রঙিনীয়তা।

পারিবারিক ও সামাজিক উৎসব :

পারিবারিক উৎসবের মধ্যে বিবাহ, আদ‍্যকৃত, জন্মদিন, নামকরণ, সাধু ভক্ষণ ইত্যাদি সঙ্গে সংযুক্তি ঘটে অনেক উৎসব সামাজিক উৎসবগুলিরও। রাখি বন্ধন, রবীন্দ্র জন্মোৎসব, মাতৃভাষা দিবস, প্রভৃতি উৎসব।

ঋতু উৎসব :

বাঙালির ঋতু উৎসব গুলি আজ আর তেমন ভিন্ন ভিন্ন আকারে নেই। তাই বৈশাখী পূর্ণিমা থেকে মাঘী পূর্ণিমা, বীজ বপনের বর্ষামঙ্গল, রথযাত্রার কার্তিকের শস্য দেবতার উদ্দেশ্যে নবান্ন, শুভ জন্মাষ্টমী, শ্রাবণ ভাদ্রের ঝুলন, ফাল্গুন চৈত্রের দোল, চৈতন্য জন্মোৎসব, রাসযাত্রা  আজ বাংলার উৎসব গুলি তুলনীয়ভাবে ক্ষীন হলেও বহুমাত্রিক প্রমাণ পাওয়া যায় বাঙালির এই উৎসব গুলি থেকে।

উপসংহার :

অন্তরের সহৃদয়তা, প্রেম-প্রীতি ভালবাসার প্রকাশক বাংলার উৎসব গুলি। উৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় শ্রেণীভেদ ভুলে মিলিত হতে শেখায়। তাইতো বাঙালি দুর্গ পুজো-ঈদ-বড়দিনে সমান ভাবে মেতে ওঠে। বাঙালির উৎসব নানা উপলক্ষ্যকে মুগ্ধ করে তোলে। এই উৎসব লোক-সমাজ- জাতি-ধর্ম-জীবনচর্চার নানা অবস্থান কে জানতে বুঝতে শেখায়। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন থেকে বাৎসল‍্যের মাধুর্য, শস‍্য ফলনের গুরুত্ব থেকে পিতৃমাতৃ মর্যাদা সম্পর্কে এই বাংলার উৎসব গুলি থেকে শিখে নেয় সকলেই। উৎসব মানেই সকল ভেদাভেদ ভুলে একাত্রিত হওয়া। বর্তমানে উৎসবে অবশ্য বাইরের আচরণ উৎসবের মূল ধারণাটিকে ক্ষীণ করেছে। কিন্তু বাঙালি তার এই আচারসর্বসত্ত্বা ভুলে উৎসবের অপরূপ মাধুর্যকে ফিরিয়ে আনবে এটাই আমাদের চাহিদা।

দ্বিতীয় রচনা :

বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা :

ভূমিকা :

বাঙালির ভাগ‍্যাকাশে দুর্যোগের মেঘ বরাবরই ঘনিয়েছে। এখনো দুর্ভিক্ষ মহামারীতে মেতেছে বীভৎস মরণ যজ্ঞে। কখনো রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। তবুও আনন্দ স্রোতে ভাটা পরেনি কারণ বাঙালি উৎসব প্রিয়জাতি। উৎসবে মানুষের মন পরিধির বিস্তৃত হয়। প্রাত্যহিক নানা সমস্যায় মানুষ বিব্রত, ক্লান্ত, বিপন্ন। উৎসব মানুষকে যাবতীয় প্রাত্যহিকতার গ্লানি থেকে মুক্ত করে। তাই জীবনকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে উৎসব।

মেলামেশার প্রাঙ্গণ :

আমার আনন্দে সবার আনন্দ হোক, আমার সুখে সবাই সুখী হোক এই কল্যাণী ইচ্ছায় উৎসবের প্রাণ। মানুষ চায় গতানুগতিক একঘেয়েমি জীবন থেকে মুক্তি। উৎসব ছাড়া ভালো উপায় কি ?

উৎসবের শ্রেণীকরণ :

বারো মাসে তেরো পার্বণ উৎসব প্রিয় বাঙালির সাথে কথাটি খুবই বাস্তব। উৎসবহীন অনুজ্জ্বল জীবন বাঙালি কখনোই ভাবতে পারেনা। জন্ম-বিবাহ- পাঁচালী- ব্রত-শারদোৎসব প্রতি মুহূর্তে উৎসবমুখর বাঙালি আনন্দে আপ্লুত। বাংলার উৎসব বৈচিত্র চোখে পড়ার মতো। সব বিভিন্ন প্রকার হতে পারে যেমন- সামাজিক ও পারিবারিক  উৎসব, ঋতু উৎসব, ধর্মীয় উৎসব, জাতীয় উৎসব ।

ঋতু উৎসব :

বিশেষ বিশেষ ঋতুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাঙালিরা মেতে ওঠে নানান ঋতু উৎসবে। বছরের প্রারম্ভেই নববর্ষ উদযাপন করা হয়। নবান্ন ও পৌষ পার্বণ দুটি উৎসব নতুন ফসল কাটার সময় হয়। শীত ঋতুতে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে নানা রকম পিঠেপুলি ও মিষ্টান্ন তৈরি হয়। দোলযাত্রাকে কেন্দ্র করে বাঙালিরা মেতে ওঠেন দোল উৎসবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে বৃক্ষরোপণ উৎসব, বর্ষামঙ্গল, বসন্ত উৎসব প্রচলন করেন যা বাঙালির জীবনে এক অনাবদ‍্য ঘটনা।

“ওগো মা তোমায় দেখে আঁখি না ফিরে      তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে।”                                                                  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ধর্মীয় উৎসব :

বাঙালি জাতির মানুষ নানারকম ধর্ম বিশ্বাসে বিশ্বাসী। তাই ধর্মকেন্দ্রিক নানা উৎসবের আয়োজন চলে বছরের বিভিন্ন সময়ে। হিন্ধুদের সব থেকে বড় উৎসব দুর্গোৎসব এছাড়াও রয়েছে কালীপুজা, সরস্বতী পুজা, লক্ষ্মীপূজা, বিশ্বকর্মা পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। মুসলমান সম্প্রদায়েরা ঈদ, মহরম, সবেবরাত এমনকি খ্রিস্টান সম্প্রদায়েরা বড় দিন, গুড ফ্রাইডে, স‍্যাটারডে পালিত হয়ে থাকে বাংলা  ছাড়াও বিভিন্ন ভাষাভাষী ধর্মের মানুষদের মধ‍্যে।

সামাজিক ও পারিবারিক উৎসব :

বাংলার উৎসব গুলির মধ্যে এমন কিছু উৎসব আছে যেগুলি পরিবারের কোনো আনন্দ অথবা দুঃখের অনুভূতিকে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়। বিবাহ, অন্নপ্রাশন, ভাইফোঁটা, জামাইষষ্ঠী এই সকল অনুষ্ঠান আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের সমন্বয়ে এক মিলন অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। এই সকল অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পরস্পরিক মনোমালিন্য যেমন দূর হয় তেমনি দূরের আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিলনের সুযোগ হয়। তাই কবির ভাষায়

“উৎসব মানে এক মিলনের মেলা      কিছু দেওয়া কিছু নেওয়া জীবনের খেলা।” 

জাতীয় উৎসব :

আমরা যে দেশে বাস করি সেই দেশ তথা ভারতবর্ষের দেশের বিভিন্ন বিভিন্ন মনীষীদের জন্ম দিবস রবীন্দ্রজয়ন্তী, মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন, নজরুল জয়ন্তী এবং বিশেষ কিছুদিন স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, শিক্ষক দিবস সারা ভারতবর্ষের সঙ্গে বাঙালিরাও  উন্মুক্তভাবে উদযাপন করে।

উপসংহার :

যতই কৃত্রিমতা চেপে বসুক না কেন বাঙালি আজও বাংলার উৎসব মুখর থাকতে ভালোবাসে। তাই আজও নতুন প্রজন্মে অনেক হারিয়ে যাওয়া উৎসব বাঙালিরা নতুন ভাবে পালন করছে। লাইট, প্যান্ডেল, প্রতিমা নির্মাণ প্রতিযোগিতা চলে তার মধ্যেও বাঙালির শিল্প ভান্ডারের সুদক্ষ পরিচয় পাওয়া যায়। উৎসবের দিনগুলোতে কর্মব্যস্ত মানুষেরা ফিরে আসতে চায় নিজভূমিতে। অদূর ভবিষ্যতে বাঙালি তথা বাংলার উৎসব প্রাণের উৎসব হয়ে উঠবে এই প্রত্যয় জাগে।

তৃতীয় রচনা :

বাংলার উৎসব রচনা :

ভূমিকা :

উৎসব হল মানুষের অবসর মূহুর্তের আনন্দখন প্রকাশ। বহু মানুষের একত্রে সমাবেশ ঘটে এই উৎসবে। প্রত্যহিক দিন যাপনের গ্লানি কিছুক্ষনের জন্য হলেও ভোলা সম্ভব হয় উৎসবের রোশহাদিয়ে।

উৎসব কী :

উৎসব হল মানুষের অবসর মূহূর্তের আনন্দখন প্রকাশ। বহু মানুষের একত্রে সমাবেশ ঘটে এই উৎসবে। উৎসব দিনটি আর পাঁচটি দিনের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের আচার – আচরন,  পেষাক-পরিচ্ছদ, সাজ-সজ্জা সমস্ত কিছুই নানা রকম হয়। এই উৎসবের দিনে দোল, ঝুলন, রথ, চড়ক দুর্গাপূজা ইত্যাদি বারো মাসে তেরো পার্বন বাঙালির সেই অনন্তপ্রবাহী জীবন ছন্দেরই এক আনন্দখন রস প্রকাশ।

উৎসবের প্রকারভেদ :

বাঙালির প্রচলিত উৎসব গুলিকে চরিত্র ও প্রকৃতির বিচারে মোট চারভাগে বিভাজিত করা হয় ‘ধর্মিয় উৎসব’, ‘ঋতু উৎসব’, ‘সামাজিক উৎসব’ এবং জাতীয় উৎসব।

ঋতু উৎসব :

বাঙালির সুখ-দুঃখের রসনামোচায় ঋতুগুলির আছে বিশেষ ভূমিকা । বৈশাখের শূন্য প্রভাতে হয় নববর্ষ উৎসব। বীজবপন, ধানরোপন, বৃক্ষরোপন, ইত্যাদি উৎসবের মধ্যে দিয়ে হয় তার বর্ষাবন্দনা। শরতে শারদীয় উৎসব শ্রেষ্ঠ ঋতু – উৎসব’। অঘ্রায়ন মাসে ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব , পৌষে বইমেলা, পৌষমেলা। ফাল্গুনে মেলি উৎসব। চৈত্রের ধুধু প্রান্তরে বেজে ওঠে শিবের গাজনের বাজনা।

জাতীয় উৎসব :

জাতীয় উৎসবগুলির মধ‍্যে আছে 15 ই অগস্ট, 26 শে জানুয়ারি, 25 শে বৈশাখ, রবীন্দ্রজয়ন্তী, নেতাজি সুভাষের জন্মদিন, গান্ধিজি ও স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন।

ধর্মীয় উৎসব :

সিদ্ধিদাতা গনেশের পূজো দিয়ে বাঙালি-হিন্দুর নববর্ষের শুরু। তারপর একের-পর-এক উৎসবের মিছিল। দশহরা, রথযাত্রা, রাঁখিপূর্ণিমা, মনসা পূজা, বির্শ্বকর্মা পূজা শেষ হতে না হতেই চলে আসে হিন্দু-দের শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব। এছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে হয় সরস্বতী পূজা, জগদ্ধাত্রী, অন্নপূর্ণা ও বাসন্তী পূজা।

সামাজিক উৎসব :

সামাজিক উৎসবগুলি হল অন্নপ্রাশন, উপনয়ন, জামাইষষ্ঠী, ভাইফোটা, বিয়ে, জন্মদিন ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠান ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে।

উপসংহার :

যতই কৃত্রিমতা চেপে বসুক না কেন বাঙালি আজও উৎসব মুখর থাকতেই ভালোবাসে। তাই আজও নতুন প্রজন্ম অনেক হারিয়ে যাওয়া উৎসব নতুন করে পালন করছে।

PDF DOWNLOAD ZONE
File Name : বাংলার উৎসব রচনা
Language : বাংলা
Size : 69 KB 
Click Here To Download

 

আরও পড়ুন :

বিজ্ঞানের সুফল ও কুফল 

বনসৃজন প্রবন্ধ রচনা 

19 thoughts on “বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা PDF | Banglar Utsab Rachana”

  1. Very very enjoyable to reading and be very happy 😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊 😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊

    Reply

Leave a Comment