26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য PDF | 75th Republic Day Speech in Bengali

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য PDF : প্রত‍্যেক বছর 26 শে জানুয়ারি দিনটিতে, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়। 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি যেদিন ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয়েছিল সেই দিনটিকে স্বরণের জন‍্য প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। আজকের এই পর্বটি তে প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কে কিছু বক্তব্য শেয়ার করা হলো।

26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য PDF | 75th Republic Day Speech in Bengali

26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য :

প্রথম বক্তব্য :

আজ 26 জানুয়ারি স্বাধীন ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস। 1950 সালের এই দিনে ভারতীয় গণপরিষদে সংবিধান কার্যকরী হওয়ার পরে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানিত- আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধীমন্ডলি সকলকে স্বাগতম ও স্বাধীন-সার্বভৌম ভারতের 75 তম প্রজাতন্ত্র দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা।

বর্তমানে পৃথিবীর সমস্ত স্বাধীন দেশেই একটি নির্দিষ্ট শাসনতন্ত্র অনুযায়ী দেশকার্য পরিচালিত হয়। প্রতিটি স্বাধীন দেশের নির্ধারিত এই শাসনতন্ত্রের মূল লক্ষ্য হল- দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা, দেশবাসীরা সর্বাঙ্গীণ উন্নতি সাধন করা ও কল্যাণকামী কাজ করা। প্রজাদের উন্নতিকল্পে রচিত এই শাসনতন্ত্র প্রজাতন্ত্র নামে অভিহিত।
প্রজাদের দ্বারা তৈরি শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিশেষ দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্যই পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস।

ভারতবর্ষ দীর্ঘ প্রায় দু’শ বছর পরাধীন ছিল। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসকদের অধীনে থেকে এই দীর্ঘ সময়কাল ধরে দেশবাসী শোষিত, নিপীড়িত হয়েছে। ভারতীয় বীর নেতাদের দীর্ঘ সংগ্রামের পর 1947 সালের 15 ই আগস্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা অর্জন করে। এই স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু মানুষের ত‍্যাগ ও আত্মবলিদান।

ড. বি. আর আম্বেদকরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অবশেষে ভারতে এক সুবিশাল শাসনতন্ত্র বা সংবিধান তৈরি হয়। এতে লিপিবদ্ধ করা আছে ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার, মৌলিক কর্তব্য, রাজ্যপাল, মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলি প্রভৃতি সম্পর্কে।

ভারতের স্বাধীনতা দিবস ও নেতাজি জন্মজয়ন্তীর পরপরই ক্যালেন্ডারে যে দিনটাকে ঘিরে প্রত্যেক ভারতীয়র মনে দেশাত্মবোধের উদ্দিপনা জাগ্রত হয়, সেটি হল 26 জানুয়ারি।
নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা-প্রজাতন্ত্র দিবসকে (Republic Day) ঘিরে সেজে ওঠে দেশের সকল প্রান্ত।

এই দিনে প্রত্যেকটি ভারতবাসীকে হিংসা, বিরোধ, দলাদলি ভুলে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। ভারত-মাতার সামগ্রিক কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে সকল জাতি-ধর্মের নাগরিককে।

গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষে প্রজাই মুখ্য। জাতি যদি অসাম্প্রদায়িক এবং ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলেই ভারতবর্ষের উন্নতি সম্ভব- এই চেতনা সকল ভারতবাসীর হৃদয়ে জাগ্রত করতে হবে। এই বলে আমার বক্তব্য সমাপ্ত করছি।

26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য :

দ্বিতীয় বক্তব্য :

এখানে উপস্থিত সকল অতিথিগন, শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী, মাতা-পিতা ও আমার সহপাঠীগনকে জানায় 75 তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

1950 সালের 26 জানুয়ারি অর্থাৎ আজকের এই দিনে ভারতবর্ষের সংবিধান কার্যকর করা হয়েছিল। তাই আমরা প্রতি বছর এই দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে থাকি ।

আজকের এই দিনটি সকল ভারতবাসীর কাছে খুবই গৌরবময় দিন। কারন প্রজাতন্ত্র বা সাধারণ তন্ত্রের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজতন্ত্রের অবসান হয়। 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি দেশে রাজতন্ত্রকে হাটিয়ে রাষ্ট্রতন্তের প্রতিষ্ঠা হয়। স্বাধীনতা দিবসের মতোই আজকের দিনটা সমান গুরুত্বপূর্ণ দিন।

ভারতের সংবিধান হল বিশ্বের সর্ববৃহৎ লিখিত সঃবিধান। ড: বি.আর আম্বেডকর কে ভারতের সংবিধান এর জনক বলা হয়। বহু স্বাধীনতা সংগ্রামিদের আত্মবলিদানের মাধ্যমে আজকে আমরা এই দিনটি উদযাপন করি।

ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রান্তে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গৌরবের সাথে এই দিনটি পালন করি। আমি একজন ভারতীয় হিসেবে খুবই গর্বিত। আমার দেশ মহান দেশ। ভারত মাতা কে প্রণাম জানিয়ে আমার এই ছোট্ট বক্তব্য শেষ করছি।
বন্দে মাতরম – জয় হিন্দ

৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য :

তৃতীয় বক্তব্য :

উপস্থিত মাননীয় প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা, পিতা-মাতা ও আমার প্রিয় সহপাঠিগন সকলকে জানাই প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজ 26 জানুয়ারী 2024 আজ আমরা আমাদের দেশের 75 তম প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করছি।

1947 সালের 15 ই আগস্ট ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে তার ঠিক আড়াই বছর পর 1950 সালে 26 শে জানুয়ারী সংবিধান কার্যকর হয়ছিল। এই দিন ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিনত হয়।

প্রজাতন্ত্র দিবস সারা ভারতবর্ষে অত‍্যন্ত গৌরব ও উদ্দীপনার সহিত পালিত হয়। এই দিনে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে একটি জমকালো কুচকাওয়াজ হয়।

সংবিধান রচনার জনক ছিলেন ড: বি: আর: আম্বেদকর। এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের সংস্কৃতি প্রদর্শন করেন। এইদিনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত‍্যাগ বলিদানের জন্য শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়।

আজকের এই দিনে পতাকা উত্তোলন করা হয় ও জাতীয়ী সংগীত গাওয়া হয় । সংবিধানকে সম্মান জানিয়ে আমরাও দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সমান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে দেশকে আরও সুন্দর করে তুলতে হবে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের বক্তব্য :

চতুর্থ বক্তব্য :

উপস্থিত সম্মানীয় অতিথি, শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং আমার প্রিয় সহপাঠীবৃন্দ্র আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজ 26 শে জানুয়ারী 2024 সাল, আমরা সকলে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। প্রথমেই আপনাদের সকলকে জানাই প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

1947 সালে 15ই আগস্ট দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের ফলে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে ভারত স্বাধীনতা লাত করেছে। কিন্তু ভারতে তখন কোনো আইন কানুন ছিলো না । 1947 সালে 28 শে অগস্টে একটি স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ডঃ বি. আর আম্বেদকর।

চূড়ান্ত ভাবে সংবিধান রচনা করার জন্য 2 বর্ষ 11 মাস 18 দিন সময় লেগেছিল।  1949 সালের 26 শে নভেম্বর স্বাধীন ভারতের সবিধান গৃহীত হবার পর ঠিক করা হয় যে, 1930 সালের ২৫ শে জানুয়ারী প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালনের সেই দিনটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে 1950 সালের 26 শে জানুয়ারী থেকে ভারতীয় সংবিধান কার্যকারী হবে। সেই দিন থেকে ভারতবর্ষ প্রজাতন্ত্র দিবস ছিসেবে পরিচিত হবে।

এই দিনটি সারা ভারতবর্ষে অত্যন্ত গৌরব ও উদ্দীপনার সহিত পালিত হয়। এই দিনে স্বাধীনতা আন্দোলন ও তার পরবর্তী যুদ্ধগুলিতে ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহিদ সেনিদের পতি রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞ‍্যাপন করে। আসুন আমরা সংবিধানকে সম্মান জানিয়ে আজ অঙ্গীকার করি যে আমরা আমাদের দেশকে বিশ্বের সেরা দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
“-জয় ছিন্দ-“
-“ভারত মাতা কি জয়-“

PDF DOWNLOAD ZONE

File Name : প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য PDF
Language : বাংলা
Size : 55 KB
Clik Here To Download

আরও দেখুন :

শিক্ষক দিবসের বক্তব্য 

Leave a Comment