ব‍্যাপন কাকে বলে ? ব‍্যাপনের ব‍্যাখ‍্যা ও চাপ | What is Diffusion

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

ব‍্যাপন কাকে বলে ? ব‍্যাপনের ব‍্যাখ‍্যা ও চাপ | What is Diffusion

ব‍্যাপন কাকে বলে : সুপ্রিয় পাঠকগন আমাদের এই নতুন পোষ্টে স্বাগতম , এই পর্বটিতে আমরা ব‍্যাপন কাকে বলে এবং ব‍্যাপন এর ব‍্যাখ‍্যা ও চাপ সম্পর্কে আলোচনা করেছি, যা আপনাদের জন‍্য খুবই হেল্পফুল হবে।

ব‍্যাপন কাকে বলে :

যে ভৌত প্রক্রিয়ায় গতিশক্তির প্রভাবে দুটি পৃথক পদার্থের অণু বা আয়নগুলি বেশি ঘনত্বযুক্ত স্থান থেকে কম ঘনত্বযুক্ত স্থানে গমন করে সমঘনত্বে উপনীত হয়, তাকে ব্যাপন বলে।

ব‍্যাপনের ব‍্যাখ‍্যা :

পদার্থ মাত্রই (কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়) অসংখ্য অণু দিয়ে গঠিত। -273°C তাপমাত্রার ঊর্ধ্বে প্রতিটি অণুরই গতিশক্তি থাকে অর্থাৎ অণুগুলির গতিশীলতা থাকে। যে অঞ্চলে অধিক ঘনত্বযুক্ত অণু বা আয়ন থাকে সেখানে গতিশক্তি বেশি থাকে বলে অণুগুলি কম ঘনত্ব অঞ্চল অর্থাৎ যেখানে গতিশক্তি কম সেইদিকে পরিচালিত হয়। অণু বা আয়নের গমন ততক্ষণই চলতে থাকে যতক্ষণ না মাধ্যম সমসত্ত্ব হয় অর্থাৎ অণু বা আয়নের ঘনত্ব সমগ্র মাধ্যমে সমান হয়ে গেলে ওই কণাগুলির একমুখী গমন আর সম্ভব হয় না।

বিজ্ঞানী রবার্ট ব্রাউন সর্বপ্রথম ব্যাপন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল কোলয়ডীয় দ্রবণে ব্যাপন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলেও অণুগুলির বিকর্ষণ বলের ফলে একটি মৃদু সঞ্চালন দেখা যায় অর্থাৎ অণুগুলির ইতস্তত গমন দেখা যায় যাকে ব্রাউনীয় চলন বলে।

ব্যাপন চাপ :

নিজস্ব গতিশক্তির দ্বারা সৃষ্ট যে চাপের প্রভাবে কোনো তরল, কঠিন বা গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলি উচ্চ ঘনত্বযুক্ত স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বযুক্ত স্থানে পরিবাহিত হয়, তাকে ব্যাপন চাপ বলে।

পদার্থের অণুর ঘনত্বের সঙ্গে ব্যাপন চাপের সম্পর্ক সমানুপাতিক। অর্থাৎ পদার্থের অণুর ঘনত্ব যত বৃদ্ধি পায়, ব্যাপন চাপও তত বৃদ্ধি পায়। পদার্থের ব্যাপন চাপ বৃদ্ধি পেলে ব্যাপন ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন :

ভাইরাস কাকে বলে ? ভাইরাসের আবিষ্কার, প্রকৃতি, উৎপত্তি, অবস্থান, আকার ও বৈশিষ্ট্য ?