সহায়ক ব‍্যাপন কাকে বলে এবং সহায়ক ব‍্যাপনের বৈশিষ্ট্য

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

সহায়ক ব‍্যাপন কাকে বলে এবং সহায়ক ব‍্যাপনের বৈশিষ্ট্য

সহায়ক ব‍্যাপন কাকে বলে : সুপ্রিয় পাঠকগন আমাদের এই নতুন পোষ্টে স্বাগতম , এই পর্বটিতে আমরা সহায়ক ব‍্যাপন কাকে বলে এবং সহায়ক ব‍্যাপনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি, যা আপনাদের জন‍্য খুবই হেল্পফুল হবে।

সহায়ক ব‍্যাপন কাকে বলে :

যে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোশপর্দার সঙ্গে সংযুক্ত বিশেষ প্রোটিন বাহকের মাধ্যমে শক্তির ব্যবহার ছাড়াই অধিক ঘনত্বযুক্ত স্থান থেকে অণু বা আয়নের কম ঘনত্বযুক্ত স্থানে দ্রুত গমন ঘটে, তাকে সহায়ক ব্যাপন বলে।

সহায়ক ব‍্যাপনের বৈশিষ্ট্য :

সহায়ক ব‍্যাপনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য গুলি হল-

i. পোলার অণুগুলি আধানযুক্ত হওয়ায় সহজে জলে দ্রবীভূত হয় কিন্তু কোশপর্দার মাধ্যমে সহজে পরিবাহিত হয় না। কোশপর্দায় উপস্থিত ফসফোলিপিডের ফ্যাটি অ্যাসিড পুচ্ছ জলবিকর্ষী হওয়ায় পোলার অণুগুলি সহজে কোশপর্দা ভেদ করে যেতে পারে না। এই কারণে কোশপর্দার মাধ্যমে এই অণুগুলির গমন বাধাপ্রাপ্ত হয়।

ii. এই পোলার অণুগুলির পরিবহণ ত্বরান্বিত করার জন্য কোশপর্দা এক ধরনের বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে। কোশপর্দার মধ্যে a. এক ধরনের প্রোটিন সংযুক্ত অবস্থায় থাকে যাদের সংযুক্ত বা ইন্টিগ্রাল প্রোটিন বলে। এই প্রোটিনগুলি ঘন মাধ্যম থেকে অণুগুলিকে নিজের অণুর সঙ্গে সংযুক্ত করে লঘু মাধ্যমে পরিবাহিত করে। b. অনেক ক্ষেত্রে কোশপর্দার মধ্যে প্রোটিন দিয়ে গঠিত বিশেষ সূক্ষ্ম নালি গঠিত হয়। যাকে চ্যানেল প্রোটিন বলে। এই বিশেষ প্রোটিন নালিকার মাধ্যমেও অণু বা আয়নগুলি দ্রুত পরিবাহিত হতে পারে। c. অনেক ক্ষেত্রে সংযুক্ত প্রোটিনগুলি অনেক দীর্ঘ হয় এবং কোশপর্দার বহিঃপৃষ্ঠ থেকে অন্তঃপৃষ্ঠ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। এদের ট্রান্সমেমব্রেন প্রোটিন বলে। এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনের মাধ্যমেও সহায়ক ব্যাপন সম্পন্ন হতে পারে।

iii. সহায়ক ব্যাপনের মাধ্যমে বাইরের ঘন মাধ্যম থেকে অণু বা আয়নগুলি দ্রুতগতিতে কোশে প্রবেশ করে। অপরদিকে, কোশে এদের ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেলে বিপরীত প্রক্রিয়ায় একই ধরনের ইন্টিগ্রাল প্রোটিন বা বাহকের মাধ্যমে অণুগুলি বাইরের পরিবেশে নিক্ষিপ্ত হয়।

iv. সহায়ক ব্যাপন একটি নিষ্ক্রিয় ব্যাপন কারণ- a. বাইরের পরিবেশ ও কোশের ভিতরে অণুগুলি সাম্যাবস্থায় উপনীত হলে এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। b. এই প্রক্রিয়াটি ATP থেকে নির্গত শক্তির ওপর নির্ভরশীল নয়।

v. জলে দ্রবণীয় অণু (গ্লুকোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড) বা আয়ন এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় ব্যাপিত হয়।

vi. সহায়ক ব্যাপন একটি কোশীয় প্রক্রিয়া এবং কোশপর্দার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুন :

ব‍্যাপন কাকে বলে এবং ব‍্যাপনের ব‍্যাখ‍্যা ও চাপ ?  

মূল কাকে বলে ? মূলের বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ ও কাজ ? 

Leave a Comment