প্রফুল্ল চাকী স্মরণীয় কেন : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম বিপ্লবী আন্দোলনে প্রফুল্ল চাকী স্মরণীয় কেন সেই সম্পর্কে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত আলোচনাটি।
প্রফুল্ল চাকীর অবদান | প্রফুল্ল চাকী স্মরণীয় কেন :
ভূমিকা : ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনে যাঁরা অসামান্য আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাংলার অগ্নিপুত্র প্রফুল্ল চাকী(1888-1908 )।
1. বিপ্লবী জীবনের সূচনা : প্রফুল্ল চাকি 1903 খ্রিস্টাব্দে বান্ধব সমিতি তে যোগ দিয়ে বৈপ্লবিক কাজ শুরু করেন। স্বদেশি আন্দোলনের সময় তিনি রংপুরের জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রদের লাঠিখেলা ও মুষ্ঠিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন। 1906 খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী বারীন্দ্র কুমার ঘোষ প্রফুল্লর ওপর পূর্ববঙ্গের ছোটোলাট ব্যামফিল্ড ফুলারকে হত্যার দায়িত্ব দেন।
2. কিংসফোউকে হত্যার দায়িত্ব : যুগান্তর দলের বারীন্দ্র কুমার ঘোষ প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসুর হাতে অত্যাচারী ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব দেন। ইতিমধ্যে কিংসফোর্ড বদলি হয়ে কলকাতা থেকে মুজফফরপুর চলে গেলে ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল মুজফফরপুর যান। সেখানে কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে গিয়ে ভুলবশত মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যাকে তাঁরা বোমার আঘাতে হত্যা করেন।
3. আত্মহত্যা : কেনেডি হত্যার পর ধরা পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে প্রফুল্ল চাকী নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। অবশ্য পরে ক্ষুদিরাম ধরা পড়লে বিচারে তাঁর ফাঁসি হয়।
মূল্যায়ন : দেশপ্রেমিক প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যু বাংলার যুবসমাজকে নতুন করে সক্রিয় করে তোলে। নন্দলাল নামে যে পুলিশ ইন্সপেক্টর প্রফুল্লকে ধরিয়ে দিয়েছিল, তাকে হত্যা করেন রণেন গাঙ্গুলি ও শ্রীশচন্দ্র পাল নামে দুই বিপ্লবী।
আরও পড়ুন : |