বীণা দাস স্মরণীয় কেন | বীণা দাস

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

বীণা দাস স্মরণীয় কেন | বীণা দাস

সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম বীণা দাস সম্পর্কে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বীণা দাস স্মরণীয় কেন    বিস্তারিত আলোচনাটি।

বীণা দাস স্মরণীয় কেন :

ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যাঁদের আত্মবলিদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাংলার বিপ্লবী বীণা দাস (1911-86 খ্রি.)।

1. আন্দোলনে যোগদান : বীণা কৈশোরেই পিতা বেণীমাধব দাসের (সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষক) আদর্শ ও স্বদেশপ্রেমের ভাবধারায় অণুপ্রাণিত হন। কলকাতার বেথুন কলেজে পড়াশোনার সময় বীণা 1928 খ্রিস্টাব্দে সাইমন কমিশন বয়কট, পিকেটিং আন্দোলন, কলকাতার কংগ্রেস অধিবেশনের স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী প্রভৃতিতে অংশ নেন।

2. বিপ্লবী দলে যোগদান : সুহাসিনী দত্ত, শান্তি দাশগুপ্ত প্রমুখের সঙ্গে বীণা দাসও বিপ্লবী দলে যোগ দেন । এরপর তিনি যুগান্তর দলের কর্মী কমলা দাশগুপ্তের কাছ থেকে একটি রিভলভার সংগ্রহ করেন।

3. জ্যাকসনকে গুলি : কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে (6 ফেব্রুয়ারি 1932 খ্রি.) গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসন বক্তৃতা দিতে শুরু করলে বীণা তাকে লক্ষ করে গুলি চালাতে থাকেন, কিন্তু তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হন।

4. কারাবাস : জ্যাকসনকে গুলি চালানোর ঘটনায় বীণা গ্রেফতার হন। বিচারে তাঁর 9 বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। মেদিনীপুর জেলে থাকার সময় জেলারের অনাচারের প্রতিবাদে বীণা দাস, শান্তি ঘোষ, সুনীতি চৌধুরী প্রমুখ অনশন শুরু করেন।

5. কংগ্রেসে যোগদান : জেল থেকে মুক্তিলাভের (1939 খ্রি.) পর বীণা ‘ মন্দিরা ’ নামে মাসিক পত্রিকার মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভাবধারা প্রচারের কাজ চালিয়ে যান। এই সময় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি পুনরায় 3 বছর (1942-45 খ্রি.) কারাবাস করেন।

মূল‍্যায়ন : ঔপনিবেশিক শাসনের অন্ধকার সরিয়ে ভারতে এক নতুন ভোর আনতে যাঁরা জীবন পণ করেছিলেন, বিপ্লবী বীণা দাস তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তবে নির্ভীক এই অগ্নিকন্যার শেষজীবন ছিল খুবই বেদনাদায়ক। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি হরিদ্বারে আশ্রয় নেন। সেখানে 1986 খ্রিস্টাব্দে (26 ডিসেম্বর) সহায়সম্বলহীন অবস্থায় পথের ধারে মৃত্যুবরণ করেন।

আরও পড়ুন : 

মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন ? 

লীলা রায় স্মরণীয় কেন ?

Leave a Comment