মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন

সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকে তোমাদের সাথে আলোচনা করলাম মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন সেই সম্পর্কে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত আলোচনাটি।

মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন :

ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা (1870-1942 খ্রি.)। তাঁর নেতৃত্বে 1942 খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর জেলায় ভারত ছাড়ো আন্দোলন অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

1. প্রাথমিক পরিচয় : মাতঙ্গিনী হাজরা 1870 খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর জেলার তমলুকের একটি দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আর্থিক সংকটের জন্য তিনি শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেননি। তিনি মাত্র 18 বছর বয়সে নিঃসন্তান অবস্থায় বিধবা হন।

2. আন্দোলনে অংশগ্রহণ : মাতঙ্গিনী হাজরা 1905 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনে এবং 1932 খ্রিস্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি 6 মাস কারাবাস করেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন।

3. থানা অভিযান : 1942 খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হলে 73 বছরের বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা ওই বছর 29 সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের তমলুক থানা অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পুলিশের প্রতিরোধ উপেক্ষা করে তিনি মিছিলের অগ্রভাগ প্রাঙ্গনে বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে এগিয়ে চলেন।

4. মৃত্যু : 144 ধারা অমান্য করায় পুলিশ মাতঙ্গিনী হাজরার ওপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়েও তিনি বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা হাতে সামনে এগিয়ে চলেন । অবশেষে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি ইতিহাসে গান্ধিবুড়ি নামে অমর হয়ে আছেন।

মূল‍্যায়ন : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার আত্মোৎসর্গ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বদেশের জন্য মাতঙ্গিনীর মৃত্যুবরণের দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে বাংলার তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার মানুষকে ব্রিটিশ – বিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিল।

আরও পড়ুন :

কিষান সভা বা নিখিল ভারত কিষান সভা