বিপ্লবী আন্দোলনে অনুশীলন সমিতির ভূমিকা

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

বিপ্লবী আন্দোলনে অনুশীলন সমিতির ভূমিকা

সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রী আজকে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম বিপ্লবী আন্দোলনে অনুশীলন সমিতির ভূমিকা সম্পর্কে। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের বিস্তারিত আলোচনাটি।

বিপ্লবী আন্দোলনে অনুশীলন সমিতির ভূমিকা :

ভূমিকা : বিংশ শতকের শুরুতে বাংলায় বেশ কয়েকটি বিপ্লবী গুপ্তসমিতি গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল অনুশীলন সমিতি।

1. প্ৰতিষ্ঠা : অনুশীলন সমিতি ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনুশীলন তত্ত্বের আদর্শে গঠিত বাংলার একটি সশস্ত্র বিপ্লবী সংগঠন। আইনজীবী প্রমথনাথ মিত্র ( পি মিত্র )-এর সহায়তায় বিপ্লবী সতীশচন্দ্র বসু 1902 খ্রিস্টাব্দের 24 মার্চ কলকাতার 12 , মদন মিত্র লেনে এই সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।

2. সদস্যবৃন্দ : তৎকালীন বাংলার বহু বিপ্লবী অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ, বারীন্দ্র কুমার ঘোষ, চিত্তরঞ্জন দাশ, শশীভূষণ রায়চৌধুরী, যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

3. কার্যাবলি : অনুশীলন সমিতির প্রধান লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের দ্বারা ভারতের স্বাধীনতা অর্জন। এই উদ্দেশ্যে অনুশীলন সমিতির সদস্যদের লাঠিখেলা, ব্যায়াম প্রভৃতির প্রশিক্ষণ চলত। সেই সঙ্গে গোপনে বোমা তৈরি, অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ, অত্যাচারী ব্রিটিশ কর্মচারীদের হত্যার পরিকল্পনা চলত।

4. বিভিন্ন শাখা : 1905 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে অনুশীলন সমিতির সক্রিয়তা বহুগুণ বেড়ে যায়। এই সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহি, রংপুর, চট্টগ্রাম প্রভৃতি জেলায় এই সমিতির শাখা গড়ে ওঠে। বিপ্লবী পুলিনবিহারী দাসের উদ্যোগে ঢাকার অনুশীলন সমিতি (1906 খ্রি.) খুবই শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

মূল‍্যায়ন : বাংলায় বিপ্লবী আন্দোলনকে সফল করে তোলার জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল। অনুশীলন সমিতির সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ডাকাতির মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করতেন। পরাধীন দেশমাতার মুক্তির উদ্দেশ্যে একাজ অন্যায় ছিল না।

আরও পড়ুন : 

কার্লাইল সার্কুলার কি  

মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন

Leave a Comment