কার্লাইল সার্কুলার কি

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

কার্লাইল সার্কুলার কি

কার্লাইল সার্কুলার : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম কার্লাইল সার্কুলার সম্পর্কে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত আলোচনাটি।

কার্লাইল সার্কুলার :

ভূমিকা : 1905 খ্রিস্টাব্দে লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গ করলে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে ছাত্ররা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

1. প্রেক্ষাপট : বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনে প্রচুর ছাত্র সক্রিয়ভাবে যোগ দেওয়ায় সরকার বিব্রত হয়ে পড়ে।

2. কার্লাইল-সার্কুলার ঘোষণা : বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী তীব্র ছাত্র আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে বাংলার সরকারের মুখ্য সচিব কার্লাইল এক ঘোষণা জারি করেন, যা কার্লাইল-সার্কুলার (1905 খ্রি.) নামে পরিচিত।

3. পদক্ষেপ : i. এই সার্কুলারে বলা হয় যে কোনো কলেজ সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করলে বা ছাত্ররা কলেজ ত্যাগ করলে সেই কলেজের সব ধরনের সরকারি সহায়তা বন্ধ করা হবে। ii. ছাত্রদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টররা।

4. অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি : কার্লাইল সার্কুলারের তীব্র বিরোধিতায় কলকাতার রিপন কলেজের ছাত্রনেতা শচীন্দ্র প্রসাদ বসু অ্যান্টি – সার্কুলার সোসাইটি (নভেম্বর, 1905 খ্রি.) প্রতিষ্ঠা করেন। এর সভাপতি ছিলেন কৃষ্ণ কুমার মিত্র এবং সম্পাদক ছিলেন শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু। এর উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের শামিল করা, সরকারি স্কুলকলেজ থেকে বিতাড়িত ছাত্রদের শিক্ষালাভের বিকল্প সুযোগ করে দেওয়া প্রভৃতি।

মূল‍্যায়ন : স্বদেশি যুগে ছাত্র আন্দোলন দমন করার উদ্দেশ্যে কার্লাইল-সার্কুলারের মতো কালা কানুনও সম্পূর্ণ সাফল্য পায়নি। বরং এই সার্কুলার আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে। ছাত্ররা এই সার্কুলারে ভীত না হয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন : 

পাঞ্জাবে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন

বাংলায় সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন

1 thought on “কার্লাইল সার্কুলার কি”

Leave a Comment