বর্ণ কাকে বলে :-
বিভিন্ন ধ্বনিকে লেখার সময় বা নির্দেশ করার সময় যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে সাধারণত তাকে বর্ণ বলা হয় । বাংলা ভাষায় মোট ৫০ টি বর্ণ রয়েছে ।
অপরদিকে এককথায় বর্ণ কাকে বলে বলতে গেলে, “ধ্বনির লিখিত বা সাংকেতিক রূপকে বলা হয় বর্ণ “।
তথ্য: weekipedia
বর্ণ কত প্রকার ও কি কি :-
বর্ণ কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা – ১. স্বরবর্ণ ও ২.ব্যঞ্জনবর্ণ ।
🔹 স্বরবর্ণ : স্বরধ্বনির নির্দেশ করার জন্য যে বর্ণ ব্যবহার করা হয় তাকে স্বরবর্ণ বলে । যেমন – অ, আ্, ই, ঈ প্রভৃতি । বাংলা ভাষায় মোট ১১ টি স্বরবর্ণ রয়েছে , এদের মধ্যে হস্বস্বর ৪ টি এবং দীর্ঘস্বর হল ৭ টি ।
🔹 ব্যঞ্জনবর্ণ : ব্যঞ্জনধ্বনির নির্দেশ করার জন্য যে বর্ন ব্যবহার করা হয় তাকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে । যেমন- ক, খ, গ, ঘ, ঙ প্রভৃতি । বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণর সংখ্যা রয়েছে 39 টি । এর মাঝে প্রকৃত সংখ্যা 35 টি এবং অপ্রকৃত সংখ্যা ৪ টি ।
আরও পড়ুন :
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর :
1. বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি ও কি কি ?
উ: মোট ৩৯ টি যেমন- ক, খ, গ, ঘ, ঙ, ইত্যাদি ।
2.উষ্ম বর্ণ কাকে বলে ?
উ: যে ধ্বনি বা বর্ণ উচ্চারণকালে নিঃশ্বাসের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় তাকে উষ্ম বর্ণ বলে । যেমন- শ, ষ, স
3. অন্তঃস্থ বর্ণ কাকে বলে ?
উ: স্পর্শ বা উষ্ম ধ্বনি মাঝে যে বর্ণ থাকে তাকে অন্তঃস্থ বর্ণ বলে । যেমন- য, র, ল
4. স্পর্শ বর্ণ কাকে বলে ?
উ: ক থেকে ম যে বর্ণগুলি রয়েছে সেগুলি উচ্চারণের সময় জীবের কোন না কোন অংশের সাথে স্পর্শ হয় তাই এদেশের স্পর্শ বর্ণ বলা হয়
5. স্বরবর্ণ কয় প্রকার ও কি কি ?
উ : দুই প্রকার যথা হ্রস্বস্বর ও দীর্ঘস্বর ।
2 thoughts on “বর্ণ কাকে বলে ? কত প্রকার ও কি কি ?”