কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর ?

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর ?

কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের নামকরণের সার্থকতা :

Wbchse

ভূমিকা :

একটি গল্প ছোট গল্প নয় কারণ এটি আকারে ছোট। এটি তার নিজস্ব সত্তা, ফর্ম এবং শৈলীতে উপন্যাস এবং মহাকাব্য থেকে স্বতন্ত্র হয়ে ওঠে। আলোচনার পাঠ্য ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ একটি সার্থক ছোটগল্প কিনা তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হল

আয়তনের স্ব-প্রসারণ :

ছোটগল্পের একটি গৌণ বৈশিষ্ট্য হল এর আয়তনের স্বল্পতা,
বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ততা। লেখক ৫০-এর দশকের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবনকে সংক্ষিপ্ত আকারে, পুরু বর্ণনায় উপস্থাপন করেছেন। লেখকের আবেগ কোথাও অতিরঞ্জিত নয়।

চরিত্রায়ন:

গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়। নিখিল ও টুনুর মা চরিত্রগুলো এই চরিত্রের সার্বিক বিকাশে সাহায্য করেছে। এছাড়া দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের শ্রেণী চরিত্র সৃষ্টি গল্পের প্রয়োজনে অনিবার্য হয়ে উঠেছে। তাই ছোট চরিত্র সৃষ্টির মাধ্যমে লেখক ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্যের আরেকটি শর্ত মেনে নিয়েছেন।

গল্পের একমুখীনতা :

গল্পের অপ্রয়োজনীয় একতরফাতা ছোটগল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আকালের দিনে ‘অনাহারে মৃত্যু’কে ঘিরে সংবেদনশীল ক্ষোভের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে লেখক সুন্দরভাবে চিত্রিত করেছেন।

প্রশ্নে থাকা গল্পটি আকারে ছোট কিন্তু এটিতে একটি বড় অনুভূতি রয়েছে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক বিভ্রান্তির মধ্য দিয়ে লেখক যেমন সত্যিকারের মানবতার বিজয় ঘোষণা করেছেন, তেমনি মার্কসবাদের প্রভাবে নিখিল চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ বৃহত্তর অকালের ভয়ানক হতাশার মাঝে আশাবাদের বাণী খেলেছেন- যেমন ‘বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন। ‘

মূল্যায়ন :

গল্পের শেষে সংবেদনশীল পাঠক অতৃপ্ত থেকে যায়। বলাই বাহুল্য, ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পটি একটি ছোটগল্পের প্রায় সব বৈশিষ্ট্যকে স্পর্শ করে। সমাজসচেতন লেখক মানিক বন্ধ‍্যোপাধ‍্যায় এই গল্পে সংযত ও সচেতন ভাষা ব্যবহার করেছেন। সুনির্বাচিত ইঙ্গিতমূলক শব্দের ব্যবহার, পর্যাপ্ত চিত্রকল্প, উপযুক্ত শব্দচয়ন এবং স্বতঃস্ফূর্ত বাক্যাংশ গল্পটিকে একটি আকর্ষণীয় ছোটগল্পে পরিণত করেছে।

আরও দেখুন : 

HS Bengali Suggestion 2023 : Clik Here