বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান | বাংলা চিত্রকলায় গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান  | বাংলা চিত্রকলায় গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সম্পর্কে। এখানে দুটি উত্তর প্রদান করা হলো তোমাদের পছন্দমতো যে কোন একটি উত্তর পড়লেই হবে।

বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান :

ভূমিকা : প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রপৌত্র, গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতুস্পুত্র গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর 1867 খ্রিস্টাব্দের 18 সেপ্টেম্বর শিল্প-সংস্কৃতির কেন্দ্রস্বরূপ জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ‘বেঙ্গল আর্ট স্কুল’ এর এই প্রতিভাধর চিত্রকর একজন কার্টুন চিত্রকর হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

চিত্রচর্চা : সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ছাত্রাবস্থাতেই গগনেন্দ্রনাথ চিত্রাঙ্কনে পুরস্কৃত হন। তিনি চিত্রাঙ্কনচর্চা শিক্ষা করেছিলেন আর্ট স্কুলের শিক্ষক হরিচরণ বসুর কাছে। তবে তাঁর চিত্রচর্চার সার্বিক বিকাশ ঘটে পরিণত বয়সে। পাশ্চাত্য রীতির জলরং চিত্রাঙ্কনে তাঁর চিত্রচর্চা প্রভূত দক্ষতা থাকলেও পরে তিনি কালি, তুলি ও ওয়াশের কাজেও পরিণত হয়ে ওঠেন। এই ব্যাপারে তাঁর শিক্ষাগুরু ছিলেন জাপানি চিত্রকর টাইকান আর হাসিদা। এই পদ্ধতিতে তাঁর বারোটি কাকের ছবি নিয়ে  ‘টুয়েলভ ইংক স্কেচেস’ নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় 1901 খ্রিস্টাব্দে। গগনেন্দ্রনাথের চিত্রে বাস্তবের প্রক্ষেপ সবচেয়ে বেশি করে পড়তে দেখা যায় । তাই ফরাসি শিল্পপদ্ধতি ও উপাদানকে তিনি বঙ্গশিল্পে প্রয়োগ করতে উদ্যোগী হন।

অবদান : তৎকালের কলকাতার দুই শ্রেষ্ঠ সাময়িক পত্রিকা ‘প্রবাসী’ ও ‘মডার্ন রিভিউ’ – তে ব্যঙ্গচিত্র এঁকে গগনেন্দ্রনাথ সুনাম অর্জন করেন। ‘নবহুল্লোড়’ , ‘অদ্ভুতলোক’ প্রভৃতি গ্রন্থে তাঁর বহু ব্যঙ্গচিত্র গ্রন্থিত। বহু বিচিত্র ছবি এঁকেছেন গগনেন্দ্রনাথ। তাঁর ওয়াশ পদ্ধতিতে আঁকা ছবিগুলি চিত্ররসিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।

মূল‍্যায়ন : গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক ছবিই এখন আর পাওয়া যায় না। তবে এ কথা অবদান নিঃসন্দেহে বলা যায়, আধুনিক ভারতীয় শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই মহান শিল্পী 1938 খ্রিস্টাব্দের 14 ফেব্রুয়ারি মারা যান।

দ্বিতীয় উত্তর :

বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান :

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1867 খ্রিস্টাব্দ 18 সেপ্টেম্বর কলকাতার জোড়াসাঁকোয় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন গগনেন্দ্রনাথ ছবি এঁকে পুরস্কৃত হন। আর্ট স্কুলের শিক্ষক হরিচরণ বসুর কাছে তিনি ছবি আঁকা শেখেন। পরিণত বয়সেই তিনি প্রধানত ছবি আঁকার চর্চা করেছেন।

ওকাকুরা প্রেরিত জাপানি শিল্পী টাইকান আর হিসিদার কাছে তিনি অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে জাপানি কালি-তুলি আর ওয়াশের কাজ শেখেন। ইউরোপীয় পদ্ধতির জলরঙের ব্যবহারেও তাঁর দক্ষতা ছিল। বাস্তবধর্মী চিত্রশিল্পী গগনেন্দ্রনাথ এদেশে ফরাসি শিল্পভাষাগত উপাদান প্রবর্তনের প্রচেষ্টায়ও অগ্রগণ্য। প্রবাসী ও মডার্ন রিভিউপত্রিকায় তিনি অজস্র কার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছেন। 1907 খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘Indian Society for Oriental Art’- এর সম্পাদক হন।

বাংলার কারুশিল্প প্রচারের জন্য 1916 খ্রিস্টাব্দে ‘Bengal Home Industries Association’ স্থাপন করেন এবং তার সম্পাদক হন। মঞ্চসজ্জা, দৃশ্যপট রচনার অভিনবত্বে, কাকের ছবি সম্বলিত  ‘টুয়েলভ ইঙ্ক স্কেচেস’ অ্যালবাম তৈরিতে, চিত্রশিল্পের নানান পরীক্ষানিরীক্ষায়, ভোঁদড় বাহাদুর গ্রন্থ রচনায় তাঁর প্রতিভার সাক্ষ্য ছড়িয়ে রয়েছে। বিরূপ বজ্র, অদ্ভুতলোক : Realm of the Absurd, নবহুল্লোড়, Reform Screams গ্রন্থে তাঁর আঁকা বহু ব্যঙ্গচিত্র স্থান পেয়েছে। আধুনিক শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ গগনেন্দ্রনাথ 1938 খ্রিস্টাব্দের 14 ফেব্রুয়ারি পরলোকগমন করেন।

আরও পড়ুন :

বাংলা চিত্রকলায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বাংলা চিত্রকলায় যামিনী রায়ের অবদান

বাংলা চিত্রকলায় নন্দলাল বসুর অবদান

Leave a Comment