চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান সম্পর্কে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দের জন‍্য এই প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান :

ভূমিকা : পরাধীন ভারতে আমাদের চিকিৎসক সমাজের সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আধুনিক বাংলার রূপকার বিধানচন্দ্র রায়ের বিশেষ ভূমিকা আছে। তাঁর জন্ম ঊনবিংশ শতাব্দীর আঁশির দশকে। ধন্বন্তরি চিকিৎসক হিসেবে তাঁর খ্যাতি।

শিক্ষাজীবন : 1901 খ্রিস্টাব্দে বাঁকিপুর কলেজ থেকে গণিতে বি এ অনার্স পাস করার পর কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে ভরতি হন। 1906 খ্রিস্টাব্দে উত্তীর্ণ হলেন এল এম এস পরীক্ষা, 1908 খ্রিস্টাব্দে এম ডি। এবার বিধানচন্দ্র গেলেন ইংল্যান্ডে, 1909 খ্রিস্টাব্দে। এখানে তিনি মাত্র দু-বছরের মধ্যে এম আর সি পি এবং এফ আর সি এস পরীক্ষা দুটিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। বিদেশ যাওয়ার পূর্বে তিনি যে প্রাদেশিক মেডিক্যাল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন, ফিরে এসে তিনি সেই কাজেই যোগ দেন। মেডিসিনের অধ্যাপক হিসেবে তিনি কারমাইকেল কলেজে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলেন 1919 খ্রিস্টাব্দে।

অবদান : বিধানচন্দ্র দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের প্রভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং 1923 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় আইনসভার নির্বাচনে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন। 1931-32 খ্রিস্টাব্দে তিনি কর্পোরেশনের মেয়রও নির্বাচিত হন। বিজ্ঞানচর্চার দিক থেকে বিচার করলে 1935 খ্রিস্টাব্দে তিনি রয়্যাল সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন এবং 1940 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান সোসাইটি অফ্ চেস্ট ফিজিশিয়ান- এর ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি আই আই টি খড়গপুর ও দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সদর দপ্তর পশ্চিমবঙ্গে করান।

পুরস্কার ও সম্মান : অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী এই ব‍্যক্তি 1961 সালে ভারতরত্ন সম্মনে ভূষিত হন।

মূল‍্যায়ন : শিলং হাইড্রো ইলেকট্রিক কোম্পানির ডিরেক্টর বিধানচন্দ্র রায়ের দুর্গাপুরকে বৃহৎ শিল্পাঞ্চলে পরিণত করা এবং কল্যাণীকে কলকাতার বিকল্প উপনগরী হিসেবে গড়ে তোলা অসামান্য দুই কৃতিত্ব। তার জম্ম ও মৃত্যুদিন 1 লা জুলাই দিনটি ‘চিকিৎসক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। চিকিৎসা ও রাজনীতি এই উভয় ক্ষেত্রেই ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় পরিচয় দিয়েছিলেন গভীর অন্তর্দৃষ্টির এখানেই তাঁর কৃতিত্ব।

আরও পড়ুন :

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে কাদম্বিনী বসুর অবদান 

1 thought on “চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান”

Leave a Comment