হাঁপানি কি বা কাকে বলে ? হাঁপানির কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও সাবধানতা | What is Asthma

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

হাঁপানি কি বা কাকে বলে ? হাঁপানির কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও সাবধানতা | What is Asthma

হাঁপানি কি – What is Asthma : সুপ্রিয় পাঠকগন আমাদের এই নতুন পোষ্টে স্বাগতম , এই পর্বটিতে আমরা হাঁপানি কি বা হাঁপানি কাকে বলে এবং হাঁপানির কারণ ? হাঁপানির লক্ষণ ? হাঁপানির চিকিৎসা ও সাবধানতা সম্পর্কে নিঁখুত ভাবে আলোচনা করেছি, যা আপনাদের জন‍্য খুবই হেল্পফুল হবে।

◆ হাঁপানি কি :

বিভিন্ন বহিস্থ এবং অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনায় শ্বাসনালি ও ক্লোমশাখা জালের অতিসক্রিয়তার ফলে মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্টজনিত টানের উদ্রেক হয় এবং কোনো কোনো সময় ত্বকে অ্যালার্জিজনিত লাল রঙের স্ফীতিও দেখা দিতে পারে। এরকম ধরনের অবস্থাকে বলা হয় হাঁপানি।

◆ হাঁপানির কারণ :

হাঁপানির প্রধান কারণ ক্লোমশাখার শাখাপ্রশাখার অতিক্রিয়াশীলতা। তা ছাড়া ক্লোমশাখার অনৈচ্ছিক পেশির খিঁচুনি, ক্লোমশাখার মিউকাসের শোথ এবং ক্লোমশাখার গহ্বরে মিউকাসের উপস্থিতি প্রভৃতি বিষয়গুলিকেও হাঁপানি রোগের কারণ হিসেবে ধরা হয়। কারণ উপরোক্ত বিষয়গুলি ক্লোমশাখার শাখাপ্রশাখার বায়ুপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

◆ হাঁপানির লক্ষণ :

হাঁপানির লক্ষণ গুলি হল-

i. শ্বাসক্রিয়ায় অসুবিধা ।

ii. ত্বকে লাল ফোলা দাগ।

iii. সাহায্যকারী শ্বসনপেশি, যথা- ন্যাসালিস ও আন্তরপঞ্জরাস্থি পেশির কম্পন।

iv. রোগীর বেশিক্ষণ শুয়ে থাকতে না পারা, সামনের দিকে ঝুঁকে বসে বা উঁচু বালিশে মাথা রেখে শোয়।

v. শ্বাসক্রিয়ার হার বৃদ্ধি ।

vi. শ্বাসক্রিয়ার সময় সাঁ সাঁ শব্দের সৃষ্টি ।

◆ হাঁপানির চিকিৎসা :

i. ব্রংকোডায়ালেটর : যেমন-সালবিউটামল

ii. স্টেরয়েড : এরা শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ হ্রাস করে, যেমন-বেকলোমেথাজোন।

iii. অ্যান্টিবায়োটিক : অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ করা দরকার হয়। সালবিউটামল ইনহেলার এই রোগের একটি বিশেষ চিকিৎসা।

সাবধানতা : হাঁপানি রোগীদের অ্যালার্জেন থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। ধুলো, ধোঁয়া, ফুলের রেণু, ঝুল প্রভৃতি থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন, শীতকালে শরীর গরম কাপড়ে ঢেকে রাখা দরকার।

আরও পড়ুন :

ম‍্যারাসমাস কাকে বলে ? এই রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ? 

কোয়াশিওরকর কাকে বলে? এই রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ? 

Leave a Comment