সিলোম কাকে বলে – What is Siloam : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীর আজকের এই পঠটিতে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম সিলোম কাকে বলে এবং সিলোমের প্রকারভেদ ও গুরুত্ব সম্পর্কে।
◆সিলোম কাকে বলে :
প্রাণীদেহ মধ্যস্থ যে গহ্বর মেসোডার্মের বহিস্থ সোমাটিক স্তর এবং অন্তঃস্থ ভিসেরাল স্তরের মাঝখানে অবস্থিত এবং পেরিটোনিয়াম আবরণে আবৃত তাকে সিলোম বলে।
অবস্থান : পৌষ্টিকনালিবিশিষ্ট প্রাণীদেহে সিলোম অবস্থান করে। এটি পৌষ্টিকনালি ও দেহপ্রাচীরের মাঝখানে থাকে ।
◆সিলোমের প্রকারভেদ :
সিলোমের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি অনুসারে প্রাণীদের তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথা-
1. অসিলোমীয় : যেসব প্রাণীর প্রকৃত সিলোম থাকে না, পরিবর্তে এপিডার্মিস ও গ্যাস্ট্রোডার্মিসের মধ্যবর্তী স্থান মেসোকাইমীয়
প্যারেনকাইমাপূর্ণ, তাদের অসিলোমীয় প্রাণী বলে। যেমন-জেলিফিশ, চ্যাপ্টাকৃমি ইত্যাদি প্রাণী।
2. ভুয়ো বা ছদ্ম-সিলোমীয় : যেসব প্রাণীর দেহপ্রাচীর ও পৌষ্টিকনালির মধ্যবর্তী স্থানটি ব্লাস্টোসিলের অবশিষ্টাংশ, যা মেসোডার্মাল পেরিটোনিয়ামে আবৃত নয়, তাদের ছদ্ম-সিলোমীয় প্রাণী বলে। যেমন-গোলকৃমি ।
3. প্রকৃত সিলোমীয় : যেসব প্রাণীর দেহপ্রাচীর ও পৌষ্টিকনালির মধ্যবর্তী স্থান মেসোডার্মাল পেরিটোনিয়াম দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে, তাদের প্রকৃত সিলোমীয় প্রাণী বলে। যেমন-কেঁচো, ব্যাং, মানুষ ইত্যাদি। যখন প্রাণীদের প্রকৃত দেহগহ্বরটি রক্তপূর্ণ থাকে তখন তাকে হিমোসিল বলে এবং প্রাণীদের হিমোসিলোমেট বলে। যেমন-সন্ধিপদ প্রাণী।
◆সিলোমের গুরুত্ব :
বিভিন্ন প্রাণীদেহে সিলোমের গুরুত্বও বিভিন্ন-
i. কেঁচোতে এটি হাইড্রোস্ট্যাটিক কঙ্কাল হিসেবে কাজ করে।
ii. দেহপ্রাচীরকে পৌষ্টিকনালি থেকে পৃথক করেছে।
iii. সিলোম রক্ত সংবহনতন্ত্রের পরিস্ফুটন ঘটিয়েছে।
iv. অ্যানিলিডা থেকে শুরু করে মেরুদণ্ডী প্রাণী পর্যন্ত সিলোম আন্তরযন্ত্রাদি ধারণ করে।
1 thought on “সিলোম কাকে বলে ? সিলোমের প্রকারভেদ ও গুরুত্ব”