সরল প্রোটিন কাকে বলে ? সরল প্রোটিনের শ্রেণীবিভাগ

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

সরল প্রোটিন কাকে বলে ? সরল প্রোটিনের শ্রেণীবিভাগ

সরল প্রোটিন কাকে বলে : সুপ্রিয় পাঠকবন্ধুরা আমাদের এই নতুন পোষ্টে স্বাগতম , এই পর্বটিতে আমরা সরল প্রোটিন কাকে বলে এবং সরল প্রোটিনের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে নিখুঁত ভাবে আলোচনা করেছি, যা আপনাদের জন‍্য খুবই হেল্পফুল হবে।

সরল প্রোটিন কাকে বলে :

কেবলমাত্র অ্যামাইনো অ্যাসিড সংযোজিত হয়ে যে প্রোটিন গঠিত হয় তাকে সরল প্রোটিন বলে। অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি প্রাথমিকভাবে যুক্ত হয়ে পলিপেপটাইড গঠন করে। এই পলিপেপটাইডই প্রোটিনকে কার্যকরী রূপদান করে। তবে সরল প্রোটিনে এক বা একাধিক পলিপেপটাইডের সমাবেশ দেখা যায় ও পলিপেপটাইডের সংখ্যা অনুযায়ী সরল প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ করা যায়, যেমন-

i. মনোমেরিক প্রোটিন : যে প্রোটিনে একটিমাত্র পলিপেপটাইড শৃঙ্খল থাকে, উদাহরণ-সাইটোক্রোম C ।

ii. ডাইমেরিক প্রোটিন : যে প্রোটিনে দুটি পলিপেপটাইড শৃঙ্খল থাকে, উদাহরণ- ট্রান্সঅ্যামাইলেজ।

iii. ট্রাইমেরিক প্রোটিন : যে প্রোটিনে তিনটি পলিপেপটাইড শৃঙ্খল থাকে, উদাহরণ- হিমেরিনি ।

iv. টেট্রামেরিক প্রোটিন : যে প্রোটিনে চারটি পলিপেপটাইড শৃঙ্খল থাকে, উদাহরণ- হিমোগ্লোবিন। সুতরাং, প্রোটিনে পলিপেপটাইডের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে তার নামও পরিবর্তিত হয়।

v. অলিগোমেরিক প্রোটিন : যে সকল প্রোটিনে পলিপেপটাইডের সংখ্যা 2-10, তাদের সাধারণভাবে বলা হয় অলিগোমেরিক প্রোটিন।

vi. মাল্টিমেরিক প্রোটিন : অধিক অ্যামাইনো অ্যাসিড সহযোগে (10-এর বেশি) গঠিত প্রোটিনকে মাল্টিমেরিক প্রোটিন বলে। আবার এই প্রোটিন দু-শ্রেণির হয়ে থাকে, যথা-

a. হোমোমেরিক প্রোটিন : যে প্রোটিনে সকল পলিপেপটাইড একই জাতীয়, যেমন-β-গ্যালাক্টোসাইডেজ।

b. হেটারোমেরিক প্রোটিন : যে প্রোটিনে একাধিক রকমের পলিপেপটাইড থাকে, যেমন- হিমোগ্লোবিন।

আকৃতি ও দ্রাব্যতা অনুযায়ীও প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ হয়ে থাকে। আকৃতি অনুযায়ী দুই প্রকার প্রোটিন পাওয়া যায়, যেমন- ফাইব্রাস বা তত্ত্বময় প্রোটিন ও গ্লোবিউলার প্রোটিন ।

a. তত্ত্বময় বা ফাইব্রাস প্রোটিন কাকে বলে : যখন প্রোটিনে পলিপেপটাইডগুলি সমান্তরালভাবে একটি অক্ষ বরাবর সজ্জিত থাকে, তখন তা লম্বা তত্ত্বর আকার ধারণ করে। এমন আকৃতির প্রোটিনকে ফাইব্রাস প্রোটিন বলে। উদাহরণ- সিল্কের ফাইব্রোইন, কোলাজেন ও কেরাটিন। দৃঢ়তা প্রদান করা এদের প্রধান কাজ।

b. গ্লোবিউলার প্রোটিন কাকে বলে : প্রোটিনের গঠন গোলাকার হলে তাকে গ্লোবিউলার প্রোটিন বলে। মায়োগ্লোবিন, ইনসুলিন, হিমোগ্লোবিন ও অ্যালকালাইন ফসফাটেজ এই জাতীয় প্রোটিন। উক্ত প্রোটিনগুলি বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় নিয়ন্ত্রণকারী কাজ করে থাকে।

আরও পড়ুন :

 প্রোটিন কাকে বলে ? প্রোটিনের উৎস, কাজ, গঠন, শ্রেণীবিভাগ, ধর্ম ও পুষ্টিগত গুরুত্ব ?

Leave a Comment