রুশ বিপ্লব কি ? রুশ বিপ্লবের সামাজিক ,রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কারণ গুলি হল ?

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

রুশ বিপ্লব কি ? রুশ বিপ্লবের সামাজিক ,রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কারণ ?

🔶 রুশ বিপ্লব কি ?

আয়তন বিশিষ্ট বিশাল এবং সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী হলেও অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দিক থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর রাশিয়া ছিল ইউরোপের পিছিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে একটি। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে এবং বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে রাশিয়ায় সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঘটানোর প্রচেষ্টা করা হয় ।

কিন্তু দেশের ভিতরে রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলি তখন খুবই সক্রিয় ছিল। এর ফলে রাশিয়ার সমাজে সংস্কারমুখী এবং সংস্কারবিরোধী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব ছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চাপ সামলানো রাশিয়ার শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে সম্ভব হয়নি। এর ফলেই রাশিয়ায় বিপ্লব হয়েছিল বলে বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্টিফেন জে. লি. তার Aspects of European History’ গ্রন্থে তুলে ধরেন। রুশ বিপ্লবের কারণ গুলি হল

তথ‍্য: weekipedia

রুশ বিপ্লবের কারণ গুলি হল :

🔶 রুশ বিপ্লবের সামাজিক কারণ :

🔹 কৃষকদের দুরবস্থা : রাশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল কৃষক। 1861 খ্রিস্টাব্দে জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের লাগে ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদের আগে পর্যন্ত তারা সামন্ততান্ত্রিক শোষণের শিকার হয়েছিল। এমনকি ভূমিদাস উচ্ছেদের পরও কৃষকদের অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। 1861 খ্রিস্টাব্দের সংস্কারে এই সমস্ত কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এজন্য তাদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিপরণের বিপুল বোঝা চাপানো হয়েছিল।

মিরগুলির অনুমতি ছাড়া কৃষকরা গ্রাম ত্যাগ করতে পারত না। জমিদারদের পরিবর্তে তারা মিরগুলির দাসে পরিণত হয়েছিল। এদিকে সামন্তপ্রভুরা যে সমস্ত জমিগুলি কৃষকদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিল, সেগুলিও ছিল তুলনায় অনুর্বর বা কম উৎপাদনশীল। উন্নত পদ্ধতিতে কৃষিকাজ চালানোর জন্য যে পরিমাণ অর্থ জমিতে বিনিয়োগ করার দরকার তাও কৃষকদের ছিল না। এর ফলে তারা গ্রামীণ প্রতিপত্তিশালী ও অর্থবান গোষ্ঠীগুলির কাছে ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। অচিরেই ওই সমস্ত গ্রামীণ জোতদার বা কুলাকরা সদ্য স্বাধীন হওয়া কৃষকের জমির ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করায় কৃষকের অবস্থার প্রকৃত উন্নতি ঘটেনি। 1861 খ্রিস্টাব্দের পরেও এজন্য ঘন ঘন কৃষক বিদ্রোহ হতে শুরু করে। যা রুশ বিপ্লবের অন‍্যতম সামাজিক কারণ ছিল ।

🔹শ্রমিকদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ : ভূমিদাসপ্রথা উচ্ছেদের পর থেকে রাশিয়ায় ধীরে ধীরে শিল্পায়ন হতে শুরু করে, বাড়তে থাকে শ্রমিকের সংখ্যা। বিশেষত ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় রাশিয়ায় বহু নতুন কলকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। শিল্পায়নের সূচনাকালে সর্বত্রই বাড়তি মুনাফার জন্য শ্রমিকদের ওপর চূড়ান্ত শোষণের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। রাশিয়াও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কম বেতন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কাজের অতিরিক্ত সময়কাল শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়ে তুলেছিল। 1900 খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার শিল্পে বিদেশি পুঁজির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। মোট পুঁজির পরিমাণ ছিল 900 মিলিয়ন রুবল। ফলে রাশিয়ার জাতীয় ঋণ বহুল পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

🔹শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী শ্রেণির ভূমিকা : ঊনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপে জাতীয়তাবাদী, গণতান্ত্রিক ও উদারনৈতিক যে চেতনার জন্ম ও বিস্তার হয়েছিল, রাশিয়ার শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় তার শরিক ছিল। কিন্তু পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির মতো রাষ্ট্রের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার বিশেষ সুযোগ তাদের ছিল না। অন্য দিকে রাশিয়ার শিল্পায়ন পশ্চিম ইউরোপের তুলনায় দেরিতে হওয়ায় তাদের চাকরি বা পেশাদারি দক্ষতার পরিচয় দিয়ে জীবিকা অর্জনের সুযোগও তেমন ছিল না। এর ফলে প্রচলিত ব্যবস্থার প্রতি তাদের অসন্তোষ ক্রমশ বেড়ে উঠছিল। পরবর্তী সময় রাশিয়ায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সূচনা হলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন তেমনভাবে হয়নি।

🔹সামাজিক কাঠামো : বিপ্লব পূর্ব রাশিয়ার সামাজিক অবস্থা ছিল যথেষ্ট শোচনীয়। রুশ সমাজ ছিল সেই সময় তিন শ্রেণিতে বিভক্ত–(1) জার ও অভিজাত সম্প্রদায়, (ii) মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং (iii) কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণি। এদের মধ্যে জার ও অভিজাতগণ চূড়ান্ত বিলাসব্যসনের মধ্যে জীবন কাটাতেন এবং কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণি ছিল প্রকৃত অর্থেই সর্বহারা। এই দুই সম্প্রদায়ের মাঝে ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যার অস্তিত্ব সেই সময় প্রায় ছিল না বললেই চলে। ফলে জনগণের মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক চেতনার অভাব, নৈতিক অধঃপতন, মদ্যপান ও অন্যান্য কু-অভ্যাস, অশিক্ষা প্রভৃতি প্রবল আকার ধারণ করেছিল যা রুশ বিপ্লবের সামাজিক কাঠামো বিনষ্ট হয় ।

🔶 রুশ বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণ :

সমগ্র ঊনবিংশ শতাব্দীব্যাপী রাশিয়ার অর্থনীতি ছিল পশ্চাৎপদ। কৃষির ওপর অত্যধিক নির্ভরতা ছিল এই অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। কিন্তু কৃষিক্ষেত্রেও দীর্ঘকাল ভূমিদাস প্রথা চালু থাকার জন্য নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতির ব্যবহার করে কৃষির উন্নতি ঘটানো সম্ভব হয়নি। ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদের পর রাশিয়া ধীরে ধীরে শিল্পায়নের পথে অগ্রসর হতে থাকে। কিন্তু পুঁজির জোগান কম থাকার জন্য সেখানে প্রথম পর্যায়ে শিল্পায়নের গতি ছিল ধীর। পরবর্তী সময় জার তৃতীয় আলেকজান্ডারের শাসনকালে (1881–1894 খ্রিস্টাব্দ) তাঁর অর্থমন্ত্রী কাউন্ট উইটির উদ্যোগে দ্রুত শিল্পায়ন শুরু হয়। ওই সময় রাশিয়ার শিল্পক্ষেত্রে মূলত বৈদেশিক মূলধনের দ্বারা পুঁজির বিনিয়োগ ঘটে। প্রথম দিকে জার্মানি এবং পরে ফ্রান্স থেকে বিপুল পরিমাণ পুঁজি রাশিয়ায় বিনিয়োগ শুরু হয়।

জার দ্বিতীয় নিকোলাসের আমলে মন্ত্রী স্টোলিপিন ভূমিসংস্কার আইন দ্বারা কৃষকদের জমিতে নিঃশর্ত মালিকানা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং কৃষকেরা জমির পূর্ণ মালিকানা পাওয়ার পর গ্রামীণ জোতদার গোষ্ঠীর হাতে জমি বিক্রি করার ফলে কৃষিতে শ্রেণিবৈষম্য আরও বৃদ্ধি পায়। ওই সময় শিল্পক্ষেত্রেও বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। শিল্পের দ্রুত প্রসার হলেও রাশিয়ার অর্থনীতি বিদেশি ঋণের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। 1914 খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে অর্থনৈতিক সংকট আরও বৃদ্ধি পায়। সৈন্যদের খাদ্য ও রসদ জোগাতে রাজকোশ শূন্য হয়ে যায়। শহরগুলিতে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট দেখা যায়। এদিকে যুদ্ধের খরচ চালানোর জন্য সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বৃদ্ধি পায়। ফলে এই সামগ্রিক সংকটের মধ্যে রাশিয়ার শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে পড়তে থাকে। যা রুশ বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।

🔶 রুশ বিপ্লবের রাজনৈতিক কারণ :

রুশ বিপ্লব এর আগে পর্যন্ত রাশিয়ার রাজনৈতিক কাঠামো ছিল অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল। রাজনৈতিক ক্ষমতার চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ ছিল জার বা সম্রাটের হাতে। ফ্রান্স বা ইংল্যান্ডের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত কোনো আইনসভা রাশিয়ায় ছিল না। অতএব শাসন কাঠামোয় জারের ক্ষমতাই ছিল অপ্রতিহত।

🔹জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার (1855-81 খ্রিস্টাব্দ) : জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার সংস্কারের মাধ্যমে রাশিয়ার আর্থসামাজিক পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর সংস্কার কেবলমাত্র স্থানীয় শাসনব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ ছিল। কেন্দ্রীয় শাসনের ক্ষেত্রে জারের স্বৈরাচারী ক্ষমতাকে খর্ব করতে তিনি রাজি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত চরম রাজনৈতিক পরিবর্তনকামী নিহিলিস্ট বিপ্লবীদের হাতে তিনি নিহত হন।

🔹জার তৃতীয় আলেকজান্ডার (1881-94 খ্রিস্টাব্দ) : দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের পুত্র জার তৃতীয় আলেকজান্ডার তাঁর পিতার তুলনায় আরও বেশি প্রতিক্রিয়াশীল ও স্বৈরাচারী ছিলেন। ‘এক জার, এক গির্জা ও এক রাশিয়া’-র আদর্শ গ্রহণ করে তিনি জারতন্ত্রের বিরোধী সমস্ত শক্তিকে দমন করতে সচেষ্ট হন। বিশেষ করে জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের উদারমুখী সংস্কারগুলির প্রতিও তিনি উদাসীন ছিলেন। তিনি কৃষিক্ষেত্রে সামস্তপ্রথা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন।

স্থানীয় প্রশাসনে নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা গঠিত পরিষদের পরিবর্তে তিনি গ্রামীণ ভূস্বামী এবং নিজের মনোনীত সদস্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চেয়েছিলেন। সর্বোপরি পোল, ফিন, ইহুদি প্রভৃতি সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলির প্রতি তিনি কঠোর দমননীতি প্রয়োগ করে রাশিয়ার বহুজাতিক সাম্রাজ্য অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা করেন। জার শাসনাধীন রাশিয়ায় বসবাসকারী এই বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ‘রুশীকরণ’ করার প্রতিক্রিয়াশীল নীতি তিনি গ্রহণ করেছিলেন। অর্থাৎ, জমি অধিগ্রহণ করে তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর রুশ ভাষা ও সংস্কৃতিকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ।

🔹জার দ্বিতীয় নিকোলাস (1894-1917 খ্রিস্টাব্দ) : পিতার মতোই জার দ্বিতীয় নিকোলাস স্বৈরতান্ত্রিক স্নীতিতে অবিচল ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রকৃতপক্ষে একজন দুর্বল শাসক এবং স্ত্রী জারিনা আলেকজান্দ্রা এবং জর্জিয়া থেকে আগত গ্রেগরি রাসপুটিন নামক একজন ভণ্ড সন্ন্যাসীর প্রভাবাধীন। শাসনকার্য পরিচালনা, কর্মচারী নিয়োগ এমনকি যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রেও সম্রাজ্ঞী ও রাসপুটিনের যৌথ প্রভাব বিশেষ উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছিল। তাঁর আমলেই গণতান্ত্রিক ভাবধারায় অনুপ্রাণিত বুদ্ধিজীবীরা রাজনৈতিক অধিকার লাভের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাঁর শাসনকালেই প্রবল আর্থসামাজিক সংকটের ফলস্বরূপ 1905 খ্রিস্টাব্দে এক বিপ্লব সংঘটিত হয়।

🔹1905 খ্রিস্টাব্দের বিপ্লব : 1905 খ্রিস্টাব্দের 3 জানুয়ারি সেন্ট পিটার্সবার্গের শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবির ভিত্তিতে ধর্মঘট শুরু করে। কিন্তু জারের পুলিশ এক শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশি শ্রমিককে হত্যা করে, বহু শ্রমিক আহত হয়। এই ঘটনা রক্তাক্ত রবিবার নামে খ্যাত। ফলস্বরূপ সারা দেশে ব্যাপক হিংসাত্মক আন্দোলনের সূচনা হয়। শ্রমিকদের পাশাপাশি কৃষকরাও এই আন্দোলনে যোগদান করেছিল। 1905 খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে রুশ নাবিকরাও বিদ্রোহ ঘোষণা করে।

🔹দার্শনিক ও সাহিত্যিকদের প্রভাব :

ফরাসি বিপ্লবের মতো রুশ বিপ্লবে, বিপ্লবের আদর্শ প্রচারের ক্ষেত্রে দার্শনিক ও সাহিত্যিকরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। গোর্কি, দস্তয়েভস্কি, তুর্গেনিভ, টলস্টয়, পুশকিন, গোগোল প্রমুখর রচনা দেশবাসীর সামনে স্বৈরাচারী জারতন্ত্রের স্বরূপকে তুলে ধরেছিল। এ ছাড়া নৈরাজ্যবাদী নেতা বাকুনিনের তত্ত্ব এবং সর্বোপরি মার্কসের সমাজতান্ত্রিক আদর্শ জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

🔹প্রত্যক্ষ কারণ-প্রথম বিশ্বযুদ্ধ :

রুশ বিপ্লবের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ,এইরূপ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে জার সরকার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করলে দেশবাসীর ক্ষোভ চরম পর্যায়ে উপনীত হয়। যুদ্ধজনিত ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া যুদ্ধে যোগদান করেছিল। যার ফলে রাশিয়ায় চূড়ান্ত অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়। কৃষকদের জোর করে সৈনিক হিসেবে নিয়োগ করায় কৃষি উৎপাদন কমে যায় এবং খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে খাদ্যসহ অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাপক মূলবুদ্ধি ঘটে। এ ছাড়া রেলপথকে কেবলমাত্র যুদ্ধের প্রয়োজনে ব্যবহার করার ফলে খনিজ উৎপাদন লক্ষণীয়ভাবে হ্রাস পায়। এই অর্থনৈতিক সংকট রাশিয়ায় এক চরম অব্যবস্থা ডেকে এনেছিল।

আরও পড়ুন : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণ

রুশ বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন :

1. রুশ বিপ্লবের অপর নাম কি ?

উ: অক্টোবর বিপ্লব

2. রুশ বিপ্লবের সময় রাশিয়ার যার রূপে কে নিযুক্ত ছিলেন ?

উ: দ্বিতীয় নিকোলাস

3. রুশ বিপ্লব কবে হয় ?

উ: 1917 সালে 8 মার্চ ।

4. রুশ বিপ্লবের প্রধান নেতার নাম কি ?

উ : লেনিন

5. রুশ বিপ্লব কতদিন স্থায়ী ছিল ?

উ : 10 দিন

2 thoughts on “রুশ বিপ্লব কি ? রুশ বিপ্লবের সামাজিক ,রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কারণ গুলি হল ?”

Leave a Comment