গলগি বডি কাকে বলে : গলগি বডি কোষের অর্গানল যা প্রোটিন এবং লিপিড অনুগুলিকে প্রক্রিয়াকরণ করতে সাহায্য করে। গলগি বডির আবিষ্কারক ক্যামিলো গলগি-র নামনুসারে গলগি বডির নামকরণ করা হয়েছে। আজকে আমরা আলোচনা করব গলগি বডি কাকে বলে এবং গলগি বডির অবস্থান গঠন ও কাজ সম্পর্কে।
গলগি বডি কাকে বলে :
একক পর্দাযুক্ত কোশীয় ক্ষরণকার্যে নিযুক্ত যে সমস্ত চ্যাপটা থলি এবং ক্ষুদ্র গহ্বরের মতো অঙ্গাণু কোশের সাইটোপ্লাজমে নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি অংশে অবস্থান করে তাদের গলগি বডি বলে। উদ্ভিদকোশের গলগি বডিকে ডিকটিওজোম বলা হয়।
গলগি বডির অবস্থান :
উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমীয় ধাত্রে নিউক্লিয়াসের খুব কাছাকাছি অংশে গলগি বডি অবস্থান করে ।
গলগি বডির অবস্থান :
গলগি বডি হল ছোটো ছোটো কতকগুলি গহ্বর ও চ্যাপটা থলির সমন্বয়ে গঠিত সজীব কোশীয় অঙ্গাণু। গলগি বড়িতে তিন ধরনের গঠন দেখা যায় যথা – 1. ল্যামেলি বা সিস্টারনি , 2. ভ্যাকুওল বা গহ্বর এবং 3. মাইক্রোভেসিক্ল । এগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল।
1. সিস্টারনি ; এগুলি দেখতে অনেকটা চ্যাপটা থলির মতো হয় এবং পরপর সমান্তরালভাবে সাজানো থাকে।
2. ভ্যাকুওল : সিস্টারনির প্রান্তভাগে বড়ো গোলাকার অংশগুলিকে ভ্যাকুওল বলে।
3. মাইক্রোভেসিক্ল : সিস্টারনির প্রান্তভাগে ছোটো গোলাকার অংশগুলিকে মাইক্রোভেসিক্ল বলা হয়। সিস্টারনি , ভ্যাকুওল এবং মাইক্রোভেসিকল একটিমাত্র পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। এদের মধ্যে কোশীয় ক্ষরণের উপাদানগুলি সঞ্চিত থাকে।
গলগি বডির কাজ :
গলগি বডির গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা বৈশিষ্ট্য গুলি হল-
1. গলগি বডি কোশের ক্ষরণ অঙ্গাণু ,এটি উৎসেচক , হরমোন , মিউকাস ইত্যাদি ক্ষরণ করে।
2.গলগি বড়ি কোশপর্দা ও কোশপ্রাচীর গঠনে অংশগ্রহণ করে।
3.এটি পরিণত শুক্রাণুর অ্যাক্রোজোম গঠনে সহায়তা করে।
4. গলগি বডি খাদ্যবস্তুর সঞ্চয় ভাণ্ডার হিসেবেও কাজ করে ।
5. এগুলি লাইসোজোম ও অন্যান্য কোশ – অঙ্গাণু সৃষ্টিতে অংশগ্ৰহন করে।
6. কোশ মধ্যস্থ বিভিন্ন পদার্থ , যেমন- ক্ষরিত প্রোটিন , উৎসেচক ইত্যাদির পরিবহণে সহায়তা করে।
7. গলগি বডি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ রাখে।
আরও পড়ুন :
3 thoughts on “গলগি বডি কাকে বলে ? গলগি বডির অবস্থান, গঠন ও কাজ”