সাইটোপ্লাজম কাকে বলে : সাইটোপ্লাজম হল একটি পুরু দ্রবণ যা প্রতিটি কোষকে পূর্ণ করে কোষের পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। এটি সাধারণত জল, লবন এবং প্রোটিন দ্বারা গঠিত। ইউক্যারিওটিক কোষে সাইটোপ্লাজম কোষের ভিতরে এবং এবং নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থান করে। আজকে আমরা জানবো সাইটোপ্লাজম কাকে বলে এবং সাইটোপ্লাজমের গঠন ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
সাইটোপ্লাজম কাকে বলে :
প্রোটোপ্লাজমের যে অর্ধতরল, স্বচ্ছ ও দানাদার পদার্থ , নিউক্লিও পর্দা ও কোষপর্দার মাঝখানে অবস্থান করে তাকে সাইটোপ্লাজম বলে।
সাইটোপ্লাজমের অবস্থান :
সাইটোপ্লাজম কোশের ভিতরে কোশপর্দা থেকে নিউক্লিয় পর্দা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। সাইটোপ্লাজম সকল সজীব কোশে থাকে। মৃত কোশে সাইটোপ্লাজম দেখা যায় না।
সাইটোপ্লাজমের গঠন :
1. সাইটোপ্লাজম দানাদার , জালকাকার , সূত্রাকার এবং কলয়েড – জাতীয় পদার্থ ।
2. এটি প্রধানত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত— এক্টোপ্লাজম এবং এন্ডোপ্লাজম । সাইটোপ্লাজমের স্বচ্ছ , স্থিতিস্থাপক , দানাবিহীন , অধিক সান্দ্র , কোশপর্দা সংলগ্ন অংশকেই এক্টোপ্লাজম বলে । এক্টোপ্লাজম ছাড়া কোশের ভিতর পর্যন্ত বিস্তৃত অস্বচ্ছ , দানাদার অংশকে এন্ডোপ্লাজম বলে।
3. এন্ডোপ্লাজমের যে অংশ কোশগহ্বর বা ভ্যাকুওলকে ঘিরে থাকে , তাকে টোনোপ্লাজম বলে।
4. সাইটোপ্লাজমের শতকরা 75 ভাগ জল এবং বাকি অংশ কঠিন জৈব ও অজৈব পদার্থে পূর্ণ।
5. বিভিন্ন প্রকার অণুতন্তুনালিকা , কোশীয় অঙ্গাণু এবং অজীবীয় পদার্থ সাইটোপ্লাজমের অন্তঃকঙ্কাল ( Cytoplasmic Skeleton ) গঠন করে।
সাইটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্য বা কাজ :
সাইটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্য গুলি হল –
1. সাইটোপ্লাজম কোশের সকল অঙ্গাণুর ধাত্র হিসেবে কাজ করে ।
2. কোশীয় বিপাকক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
3. সাইটোপ্লাজম বাহ্যিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়।
4. সাইটোপ্লাজমিক আবর্তনের সাহায্যে হরমোন , খাদ্য , উৎসেচক ইত্যাদি স্থানান্তরিত করে।
5. সাইটোপ্লাজম কোশ বিভাজনে অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন :
1 thought on “সাইটোপ্লাজম কাকে বলে ? সাইটোপ্লাজমের অবস্থান, গঠন এবং বৈশিষ্ট্য”