দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক সম্পর্কে কী জান

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক সম্পর্কে কী জান

দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক : সুপ্রিয় পাঠকগন আমাদের এই নতুন পোষ্টে স্বাগতম , এই পর্বটিতে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক সম্পর্কে নিঁখুত ভাবে আলোচনা করেছি, যা আপনাদের জন‍্য খুবই হেল্পফুল হবে।

দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক :

ভারতের সাংবিধানিক সংস্কার প্রবর্তনের জন্য জাতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে লন্ডনে তিনটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। এগুলির মধ্যে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল।

বৈঠক : ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক বসে। এই বৈঠকে কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে মহাত্মা গান্ধি, মুসলিম লিগের প্রতিনিধি হিসেবে মহম্মদ আলি জিন্না এবং দলিত প্রতিনিধি ড. ভীমরাও আম্বেদকর এই বৈঠকে যোগ দেন।

গান্ধিজির দাবি : বৈঠকে গান্ধিজি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেন- i. একমাত্র কংগ্রেস সারা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে।
ii. অস্পৃশ্যরা সংখ্যালঘু নয়, তারাও হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত। iii. মুসলিম বা সংখ্যালঘুদের পৃথক নির্বাচনের নীতি বাতিল করতে হবে। গান্ধিজির সঙ্গে আম্বেদকর-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু প্রতিনিধিরা একমত ছিলেন না ৷

বিতর্ক : দলিত শ্রেণির অধিকার ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব লাভের বিষয়কে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে গান্ধিজির সঙ্গে আম্বেদকরের তীব্র মতপার্থক্য দেখা যায়। এই সুযোগে হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি (১৯৩২ খ্রি.) ঘোষণা করেন।

ব্যর্থতা : সরকার সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতির দ্বারা দলিত-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতিকে পৃথক নির্বাচনের অধিকার দিলে আম্বেদকর তা সমর্থন করেন। এই পরিস্থিতিতে গান্ধিজি মুসলিম ও শিখদের পৃথক নির্বাচন মেনে নিলেও দলিতদের পৃথক নির্বাচনের নীতির বিরোধিতা করে আমরণ অনশন শুরু করেন। এভাবে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

মূল‍্যায়ন : ইংরেজদের ‘বিভাজন ও শাসননীতি’ এই সময় ভারতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছিল। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মতভেদ বাড়ছিল। ফলে এই বৈঠকের ব্যর্থতা একপ্রকার অনিবার্য ছিল।

আরও পড়ুন :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল 

Leave a Comment