পিএইচডি কি ? PHD করার যৌগ‍্যতা,খরচ,সময়,সুবিধা,বেতন | What Is PHD

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

তোমাদের কি জ্ঞান অর্জনের প্রতি ভালোবাসা এবং একাডেমিক আগ্ৰহের একটি ক্ষেত্র থাকে। তাহলে PHD তোমাদের জন‍্য সঠিক পছন্দের হতে পারে। চলুন  দেখে নেওয়া যাক পি এইচডি কি এবং এটি কিভাবে করবেন।

PHD একটি একাডেমিক বা পেশাদার ডিগ্ৰি। PHD এর পূর্ণরূপ Doctorate Of Philosophy। Philosophy যার অর্থ দর্শন এই দর্শন শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্ৰিক শব্দ থেকে যার আক্ষরিক অর্থ ‘প্রজ্ঞার প্রেম’। এটি মূলত একজন ব‍্যক্তিকে নির্দেশ করে ।এই ডিগ্ৰিটি এমন ব‍্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা একটি বিষয়ের প্রতি অনেক বেশি সুদক্ষ জ্ঞান অর্জন করেছে।

পিএইচডি কি ? PHD করার যৌগ‍্যতা,খরচ,সময়,সুবিধা,বেতন | What Is PHD

PHD কি :

আমাদের মধ্যে অনেকের ইচ্ছে থাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কোন একটি বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করা আর তেমনি একটি কোর্স হল পি এইচডি। PHD এর পূর্ণরূপ হল Doctorate Of Philosophy । এই কোর্সটি সম্পূর্ণ করার পর নামের আগে ডক্টর পদবিটি যোগ করা হয় যেটি খুব সম্মানের প্রতীক। পিএইচ ডি হল এমন একটি কোর্স যেখানে রিসার্চ করানো হয়। তুমি যে বিষয়ের উপর M.A  কমপ্লিট করেছো সেই বিষয়ের কোন একটি পাঠ নিয়ে তোমাকে PHD করতে হবে।

PHD কারা করে :

তোমার যদি মনে হয়ে থাকে তুমি একটি বিষয় নিয়ে অনেকদিন পড়াশোনা করতে পারবে এবং তুমি যদি একটি বিষয়ের উপর ভালোভাবে রিসার্চ করে ভবিষ্যতে তুমি একজন প্রফেসর হতে চাও তাহলে তোমার এই কোর্সটি করা অবশ্যই উচিত। অনেকেরই ইচ্ছে থাকে কলেজের অধ্যাপক হবে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াবে বা টিচিং লাইনে যাবে তাদের জন্য এই কোর্সটি একদম পারফেক্ট।

(PHD)পি এইচডি করার যোগ্যতা :

তোমাকে যে কোন কাজ বা কোন কিছু করার আগে তোমার একটি যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। তেমনি পিএইচডি করার যোগ্যতা হিসেবে তোমাকে M.A তে 50 % নাম্বার নিয়ে তোমাকে পাস করতে হবে। তবেই তুমি এই পিএইচডি কোর্সটির জন্য আবেদন করতে পারবে। তোমাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়  কমপক্ষে 50% – 60% নাম্বার নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। তারপরে তোমাকে তিন বছরের গ্রাজুয়েশনে পাস অথবা অনার্স দুটির মধ‍্যে যেকোনো একটি কোর্সে কমপক্ষে 50% নাম্বার নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।তারপর পরবর্তী ধাপ M.A, যারা সাইন্সে রয়েছো তারা M.BA, যারা কমার্সে রয়েছে M.COM কমপ্লিট করার পরেই তোমরা এই পিএইচডি করার সুযোগ পাবে।

পি এইচডি ডিগ্ৰি অর্জন :

PHD ডিগ্রী অর্জনের জন্য অনেক সরকারি এবং বেসরকারি কলেজ রয়েছে। সরকারি কলেজগুলিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য তোমাকে Net পরীক্ষা দিতে হবে এবং রাজ্যের ভিতর তোমাকে Set দিতে হবে। তোমরা যদি এই Net পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাও তাহলে তুমি ভারতের যে কোন কলেজে থেকে পিএইচডি করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যাবে। এবং তোমরা যদি Net পরীক্ষায় র‍্যাঙ্কিং করতে পারো বা JRF পাও তাহলে তোমাদের জন‍্য 30-35 টাকা স্কলারশিপের ব্যবস্থা থাকে। এমন কিছু কিছু কলেজ আছে যারা তোমাকে সরাসরি সুযোগ দেবে তোমার M.A এর নাম্বারের উপর ভিত্তি করে।

পি এইচডি এর সময়সীমা :

পিএইচডি করতে 2-3 বছর সময় লাগে সাধারণত। আর যারা JRF (জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ)পায় তারা পাঁচ বছর পর্যন্ত পড়ার সুযোগ পায়। যারা দুই থেকে তিন বছরের কোর্সে নিজের টাকা দিয়ে পড়াশোনা করবে তাদের জন্য বিভিন্ন রকম কোর্স ফ্রি রয়েছে বিভিন্ন রকম কলেজে বিভিন্ন রকম কোর্স ফ্রি থাকে। তোমদের যে কলেজটা পছন্দ সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করে নিতে পারো। পিএইচডি করার খরচ মোটামুটি এক থেকে দুই লাখের মধ্যে হয়ে যায়।

পিএইচডি করার সুবিধা :

পিএইচডি করার পর তুমি কোন কোন চাকরিগুলি পেতে পারো সেই জায়গাটা একটু দেখে রাখা প্রয়োজন। প্রথম পিএইচডি করার সুবিধা তুমি নামের আগে ডক্টর উপাধি পেয়ে যাচ্ছো। এই কোর্সটি করার পর তুমি প্রফেসর হতে পারবে, তুমি বিভিন্ন রিসার্চ সেন্টার গুলিতে রিসার্চ করার সুযোগ পাবে, তুমি Lecturer হতে পারবে এবং পিএইচডি সম্পূর্ণ করার পর তুমি বিভিন্ন রকম বেসরকারি সংস্থা গুলিতে বিভিন্ন রকম চাকরির জন্য সুযোগ পাবে।

বেতন :

যারা অনেকদিন পরিশ্রমের পর এই PHD কোর্সটি সম্পূর্ণ করে তাদের মধ্যে প্রচুর জ্ঞানের ভান্ডার থাকে তারা একটি বিষয়ের উপর পরিপূর্ণ দক্ষ হয়। এক্ষেত্রে তুমি যদি কোন সরকারি কলেজে অধ‍্যাপক হিসেবে কাজ কর তাহলে তোমাদের মাসিক বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং যদি বেসরকারিভাবে কোন কলেজে কন্টাকচুয়ালি নিযুক্ত হলে তোমাদের মাসিক বেতন 20,000 – 30,000 টাকা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন :

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন: 

 

 

1. PHD এর পূর্ণনাম কি ?

উ: Doctorate Of Philosophy ।

2.পি এইচডি করতে কত বছর সময় লাগে ?

উ: দুই থেকে তিন বছর

Leave a Comment