অ্যামাইটোসিস কাকে বলে – what is amitosis : প্রিয় পাঠকগন আমাদের এই নতুন পোষ্টে স্বাগতম , এই পর্বটিতে আমরা অ্যামাইটোসিস কাকে বলে এবং অ্যামাইটোসিস এর স্থান, পদ্ধতি ও তাৎপর্য সম্পর্কে নিখুঁত ভাবে আলোচনা করেছি, যা আপনাদের জন্য খুবই হেল্পফুল হবে।
অ্যামাইটোসিস কাকে বলে :
যে সরলতম প্রক্রিয়ায় কোনো জনিতৃ কোশ নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয় পর্দার অবলুপ্তি না ঘটিয়ে এবং ক্রোমোজোম ও বেম-যন্ত্র গঠন না করে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমকে সরাসরি বিভাজিত করে দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে, তাকে অ্যামাইটোসিস বলে।
অ্যামাইটোসিসের স্থান :
অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, অ্যামিবা প্রভৃতি এককোশী জীবদেহে দেখা যায়।
অ্যামাইটোসিসের পদ্ধতি :
i. নিউক্লিয় পর্দা অবলুপ্ত হয় না, নিউক্লিয়াস লম্বাটে আকার ধারণ করে, পরে ডাম্বেল আকৃতিযুক্ত হয়, মাঝখান আরও সংকুচিত হয়ে দুটি খন্ডে বিভক্ত হয়ে অপত্য নিউক্লিয়াস গঠন করে।
ii. নিউক্লিয়াস বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গে কোশের সাইটোপ্লাজমের মাঝ বরাবর একটি খাঁজের সৃষ্টি হয়। উভয় দিক থেকে এই খাঁজ কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয়ে সাইটোপ্লাজমকে দুভাগে বিভক্ত করে। দু-পাশের নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমসহ দুটি অপত্য কোশ গঠন করে। এই প্রকার কোশ বিভাজনে স্পিন্ডল ও ক্রোমোজোম গঠন হয় না, নিউক্লিয় বিভাজনের কোনো দশা অতিক্রম করতে হয় না বলে একে প্রত্যক্ষ কোশ বিভাজন বলে।
অ্যামাইটোসিসের তাৎপর্য :
অ্যামাইটোসিসের গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য গুলি হল-
i. এই প্রকার কোশ বিভাজনের মাধ্যমে নিম্নশ্রেণির জীবদের বংশবিস্তার ঘটে।
ii. কোশ বিভাজনের জন্য বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না।
iii. কোশ বিভাজন স্বল্প সময়ে সম্পন্ন হয় ।
iv. নিউক্লিয়াস বিভাজনের জন্য বিভিন্ন দশা অতিক্রম করতে হয় না ৷