ফুলের প্রকারভেদ – Types Of Flower : সুপ্রিয় বন্ধুরা এই পাঠটিতে তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করলাম ফুল কয় প্রকার ও কি কি বা ফুলের প্রকারভেদ সম্পর্কে।
ফুল কাকে বলে :
সপুষ্পক উদ্ভিদের বিটপের আকৃতি পরিবর্তিত হয়ে পুষ্পমুকুল সৃষ্টি হয়। যা প্রস্ফুটিত হয়ে ফুলে পরিণত হয়। ফুল নানা বর্ণ ও গন্ধযুক্ত হয়। ফুল উদ্ভিদের জনন ও বংশবিস্তারে সাহায্য করে বলে ফুলকে জনন অঙ্গ বলে। ফুল থেকে ফল ও বীজ হয় এবং বীজ থেকেই নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়।
ফুলের প্রকারভেদ :
ফুলের বিভিন্ন স্তবকগুলির গঠন ও আকৃতির ওপর নির্ভর করে ফুলকে দু-ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- 1. সুষম ফুল ও 2. বিষম ফুল
1. সুষম ফুল কাকে বলে :
যে ফুলের প্রতিটি স্তবকের অংশগুলি আকৃতিগতভাবে পরস্পর সমান, তাকে সুষম বা সমাঙ্গ ফুল বলে। উদাহরণ – জবা, ধুতরো ইত্যাদি ফুল।
2. বিষম ফুল কাকে বলে :
যে ফুলের কোনো না কোনো স্তবকের অংশগুলি আকৃতিগতভাবে অসমান, তাকে বিষম বা অসমাঙ্গ ফুল বলে। উদাহরণ – মটর, অপরাজিতা, বক ইত্যাদি ফুল।
◆প্রতিসাম্যের ভিত্তিতে ফুলের প্রকারভেদ :
প্রতিসাম্যের ভিত্তিতে ফুলকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়-
i. বহুপ্রতিসম : কোনো ফুলের কেন্দ্রবিন্দুকে নির্দিষ্ট রেখে যদি সেই ফুলকে লম্বালম্বিভাবে কেন্দ্র বরাবর দুটি সমান অংশে বহুবার ভাগ করা যায়, তাকে বহুপ্রতিসম ফুল বলে। উদাহরণ – জবা, ধুতরো, বেগুন, সরষে ইত্যাদি ফুল।
ii. একপ্রতিসম : কোনো ফুলকে যদি তার কেন্দ্র বরাবর লম্বালম্বিভাবে কেবলমাত্র একবার দুটি সমান অংশে ভাগ করা যায়, তখন তাকে একপ্রতিসম ফুল বলে। উদাহরণ – মটর, অপরাজিতা, বক, শিম ইত্যাদি ফুল।
iii. অপ্রতিসম : কোনো ফুলকে যদি তার কেন্দ্র বরাবর কখনোই দুটি সমান ভাগে ভাগ করা না যায়, তখন তাকে অপ্রতিসম ফুল বলে।উদাহরণ – অর্কিড, সর্বজয়া ইত্যাদি ফুল।
আরও পড়ুন :
● ফুল কাকে বলে ? ফুলের বৈশিষ্ট্য এবং বিভিন্ন ফুলের বিজ্ঞানসম্মত নাম ?