সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করলাম স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশির পার্থক্য সম্পর্কে। চলো একনজরে বিস্তারিত আলোচনাটি দেখে নেওয়া যাক।
স্কেলার রাশি : যে সব প্রাকৃতিক রাশির শুধুমাত্র মান আছে কোনো দিক নেই তাদেরকে স্কেলার রাশি বলে। উদাহরণ হিসেবে – দৈর্ঘ্য , ভর , সময় , জনসংখ্যা , নদীর গভীরতা , দ্রুতি , কাজ প্রভৃতি।
ভেক্টর রাশি : যে সমস্ত প্রাকৃতিক রাশির মান এবং দিক দুই ই আছে তাদেরকে দিক রাশি বা ভেক্টর রাশি বলে। উদাহরণ হিসেবে – সরন , বেগ , ত্বরণ , মন্দন , বল , ওজন ইত্যাদি দিক রাশি।
স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশির পার্থক্য :
স্কেলার রাশি | ভেক্টর রাশি |
যে রাশির শুধুমাত্র মান আছে , কিন্তু অভিমুখ নেই এমন রাশিকে স্কেলার রাশি বলে । উদাহরণ – ভর , সময় , চাপ , উষ্ণতা ইত্যাদি। | মান ও অভিমুখ দুই-ই বর্তমান এবং যাদের যোগ বা বিয়োগ বিশেষ সংযোজন সূত্র মেনে করতে হয় এমন রাশিগুলিই ভেক্টর রাশি হিসেবে পরিচিত । উদাহরণ – ক্ষেত্রফল , বল , ভরবেগ , সরণ ইত্যাদি। |
মানের পরিবর্তন হলে এই রাশির পরিবর্তন ঘটে। | মান বা অভিমুখ দুই-ই পরিবর্তনে এই রাশির পরিবর্তন ঘটে। |
শুধুমাত্র সাংখ্যমানের যোগ বা বিয়োগ দ্বারাই এই রাশির যোগ বা বিয়োগ সম্ভব। | মানের সঙ্গে অভিমুখও বিবেচনা করতে হয় বলে ভেক্টর রাশির যোগ শুধুমাত্র সাংখ্যমানের যোগ বা বিয়োগ দ্বারা নয় , নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হয়। |
দুটি স্কেলার রাশির গুণফল সর্বদাই প্রকৃতিগত ভাবে স্কেলার রাশি হয়। | দুটি ভেক্টর রাশির গুণফল একটি স্কেলার রাশি অথবা একটি ভেক্টর রাশি হয়ে থাকে। যেমন- কৃতকার্য = বল x সরণ (স্কেলার গুণন); কৌণিক ভরবেগ = ব্যাসার্ধ ভেক্টর × ভরবেগ (ভেক্টর গুণন)। |
আরও পড়ুন : ● পরিমাপ কাকে বলে ? পরিমাপের ধারণা ও ব্যবহার ? |