আলিপুর বোমা মামলা | Alipore Bomb Case

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

আলিপুর বোমা মামলা | Alipore Bomb Case

আলিপুর বোমা মামলা : সুপ্রিয় পাঠকগন আমাদের এই নতুন পোষ্টে স্বাগতম, এই পর্বটিতে আলিপুর বোমা মামলা  সম্পর্কে নিঁখুত ভাবে আলোচনা করেছি, যা আপনাদের জন‍্য খুবই হেল্পফুল হবে।

আলিপুর বোমা মামলা :

ভূমিকা : বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি মুজফ্ফরপুরে গিয়ে বোমা ছুঁড়ে অত্যাচারী ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে মারতে চেষ্টা করেন । কিন্তু ভুলবশত তাঁরা মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যাকে হত্যা করে ফেলেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ নানা স্থানে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে।

১. গ্রেফতার : পুলিশ বিপ্লবীদের গোপন ঘাঁটি মুরারিপুকুর বাগানবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বোমা তৈরির কারখানা, বহু তাজা বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র খুঁজে পায়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে পুলিশ অরবিন্দ ঘোষ ও তাঁর ভাই বারীন্দ্র কুমার ঘোষ-সহ ৪৭ জন বিপ্লবীকে গ্রেফতার করে ।

২. মামলার সূচনা : পুলিশ গ্রেফতার হওয়া বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ২১ মে আলিপুর সেশন আদালতে মামলা শুরু করে। এটি আলিপুর বোমার মামলা নামে পরিচিত। এই মামলাটিই ছিল ভারতীয় বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের প্রথম ষড়যন্ত্র মামলা ।

৩. বিচারপতি : আলিপুর বোমার মামলার বিচারপতি ছিলেন ইংল্যান্ডে অরবিন্দের ছাত্রজীবনের সহপাঠী পি সি বিচ ক্রফট। এ ছাড়া ছিলেন লাথুনিপ্রসাদ ও জানকিপ্রসাদ নামে দুজন ভারতীয় বিচারপতি।

৪. বিচারের রায় : ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে আলিপুর বোমার মামলার রায় বেরোয়। এই রায়ে বারীন্দ্র কুমার ঘোষ ও উল্লাসকর দত্তর মৃত্যুদণ্ড, হেমচন্দ্র কানুনগো, অবিনাশ ভট্টাচার্য, ইন্দুভূষণ রায়-সহ বিভিন্ন বিপ্লবীর বিভিন্ন মেয়াদের দ্বীপান্তর হয়। পরে আবেদনের ভিত্তিতে বারীন্দ্র ও উল্লাসকরের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয়। অরবিন্দ ঘোষ মুক্তি পান।

উপসংহার : আলিপুর বোমার মামলার ঘটনা বাংলার বিপ্লববাদকে আরও সক্রিয় করে তোলে। এই ‘মামলার সঙ্গে যুক্ত সরকারি আইনজীবী আশুতোষ বিশ্বাস ও পুলিশ ইনস্পেকটর সামসুল আলম খুন হন। কানাইলাল দত্ত ও সত্যেন বসু বিশ্বাসঘাতক বিপ্লবী নরেন গোঁসাইকে জেলের ভেতরেই হত্যা করেন।

আরও পড়ুন :

বাংলায় সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের বিবরণ দাও ?

Leave a Comment