স্ক্লেরেনকাইমা কলা কাকে বলে : আমরা আজকে এই পর্বটিতে পেশ করলাম স্ক্লেরেনকাইমা কলা কাকে বলে এবং এই কলার গঠন, অবস্থান ও সম্পর্কে।
স্ক্লেরেনকাইমা কলা কাকে বলে :
সমভাবে পুরু প্রাচীরবিশিষ্ট এবং ক্ষুদ্র গহ্বরযুক্ত কোশান্তর রন্ধ্রবিহীন মৃত কোশ দ্বারা গঠিত সরল স্থায়ী কলাকে বলা হয় স্ক্লেরেনকাইমা কলা।
স্ক্লেরেনকাইমা কলার গঠন :
1. স্ক্লেরেনকাইমা কলার পরিণত কোশে প্রোটোপ্লাজম না থাকায় কোশগুলি মৃত হয় । এই কলার কোশগুলিকে প্রস্থচ্ছেদে বহুভূজাকার দেখায়।
2. কোশপ্রাকার লিগনিনযুক্ত হওয়ায় তা পুরু এবং শক্ত হয়।
3. পরিণত কোশপ্রাকারে নানান ধরনের অলংকরণ , কূপনালী ও কূপ দেখা যায়।
4. কোশগুলির মাঝে কোশান্তর রন্ধ্র দেখা যায়।
স্ক্লেরেনকাইমা কলার প্রাকারভেদ :
এই কলার কোশগুলি মূলত দুই প্রকার যথা- স্ক্লেরেনকাইমা তন্তু ও স্ক্লেরাইড বা স্ক্লেরোটিক কোশ।
স্ক্লেরেনকাইমা কলার অবস্থান :
একবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ডের অধস্ত্বক, দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের বান্ডিল টুপিতে, নালিকা বান্ডিলে, পরিচক্রে, পেয়ারা, আপেল ইত্যাদির ফলত্বকে স্ক্লেরেনকাইমা কলা তথা স্ক্লেরেনকাইমা তন্তু ও স্ক্লেরাইড অবস্থান করে।
স্ক্লেরেনকাইমা কলার কাজ :
1. এই কলা উদ্ভিদদেহকে ঋজুতা দান করে।
2. এই কলা উদ্ভিদদেহে যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করে।
3. বীজ ও ফলের বাইরের আবরণ সৃষ্টি করে ভিতরের অংশকে রক্ষা করে।
4. এই কলার একটি অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে যেমন পাট থেকে দড়ি, থলি, ব্যাগ, গদি প্রভৃতি জিনিস তৈরি হয়।
আরও পড়ুন :