স্থায়ী কলা কাকে বলে ? স্থায়ী কলার অবস্থান, গঠন এবং বৈশিষ্ট্য

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

স্থায়ী কলা কাকে বলে ? স্থায়ী কলার অবস্থান, গঠন এবং বৈশিষ্ট্য

স্থায়ী কলা কাকে বলে : সুপ্রিয় শিক্ষার্থী এই পর্বটিতে আমরা আলোচনা করবো স্থায়ী কলা কাকে বলে এবং স্থায়ী কলার গঠন, অবস্থান এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।

স্থায়ী কলা কাকে বলে :

ভাজক কলা থেকে সৃষ্ট বিভাজনে অক্ষম যে কলার কোষ নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন বিশিষ্ট তাকে স্থায়ী কলা বলে।

স্থায়ী কলার গঠন :

1. স্থায়ী কলার কোশের কোশপ্রাকার সাধারণত পুরু হয়।

2. কোশগুলি জীবিত ও মৃত উভয় প্রকৃতির হয়।

3. কোশে প্রোটোপ্লাজম থাকতে পারে , আবার না – ও থাকতে পারে।

4. কোশগুলির মধ্যে কোশান্তর রন্ধ্র বর্তমান।

5. অনেকক্ষেত্রে কোশপ্রাকারে অলংকরণ দেখা যায় এবং কোশগুলি নির্দিষ্ট আকারের হয়।

6. কোশগুলির নিউক্লিয়াস অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র , কেন্দ্রে বড়ো কোশগহ্বর থাকে এবং সাইটোপ্লাজম পরিধির দিকে থাকে।

স্থায়ী কলার অবস্থান :

স্থায়ী কলা মূল ও কাণ্ডের ত্বক , বহিঃস্তর , মজ্জা , কাণ্ডের অধস্ত্বক , দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের বান্ডিল টুপি , নালিকা বান্ডিল ইত্যাদিতে অবস্থান করে।

স্থায়ী কলার শ্রেণীবিভাগ :

স্থায়ী কলা কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় যথা- 1. সরল স্থায়ী কলা 2. জটিল স্থায়ী কলা এবং 3. ক্ষরণ / বিশেষ কলা।

স্থায়ী কলার বৈশিষ্ট্য :

1. সরল স্থায়ী কলা খাদ্য সঞ্চয় , খাদ্য প্রস্তুত ও খাদ্য পরিবহণে সহায়তা করে ।

2. জটিল স্থায়ী কলা উদ্ভিদ অঙ্গে দৃঢ়তা প্রদান করে , জল ও খনিজ লবণ সংবহনে সহায়তা করে এবং জল ও কোশরস সঞ্চয় করে।

3. স্থায়ী কলার কোষগুলি পরিণত অবস্থায় থাকে।

4. স্থায়ী গলায় কোশান্তর রন্ধ থাকতেও পারে বা না থাকতেও পারে।

5. এই কলার কোষ প্রাচীর পাতলা বা স্থূল হতে পারে।

আরও পড়ুন : 

ভাজক কলা কাকে বলে ? গঠন, অবস্থান , শ্রেণীবিভাগ এবং বৈশিষ্ট্য 

Leave a Comment