সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 7th History Third Chapter Question Answers

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 7th History Third Chapter Question Answers

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর-Class 7th History Third Chapter Question Answers : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর নিয়ে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর  গুলি। 

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

1. সুয়ান জাং উত্তর ভারতের কোন্ কোন্ নগরের ব্যবসায়িক কাজকর্মের রমরমার কথা উল্লেখ করেছেন ?

উত্তর : থানেশ্বর, কণৌজ ও বারানসী।

2. চোল রাজ্যে কোন্ ধাতুর শিল্প বিখ্যাত ছিল ?

উত্তর : ব্রোঞ্জ।

3. দক্ষিণ ভারতে বণিকদের কী বলা হত ?

উত্তর : চেট্টি বলা হত

4. কবে ও কোথায় কাম্বোডিয়ার বিখ্যাত বিষ্ণু মন্দির তৈরি হয় ?

উত্তর : দ্বাদশ শতকে কাম্বোডিয়ার আঙ্কোর-ভাটে বিখ্যাত বিষ্ণুমন্দির তৈরি হয়। পরে এখানে বৌদ্ধরাও উপাসনা করতেন। এই মন্দিরের গায়ে রামায়ণ ও মহাভারতের বিভিন্ন কাহিনি খোদাই করা হয়েছে।

5. পাল ও সেন যুগে জিনিস কেনাবেচার প্রধান মাধ্যম কী ছিল ?

উত্তর : কড়ি

6. ব্রহ্মদেও ব্যবস্থা কাকে বলা হতো ?

উত্তর : প্রাচীন যুগে দক্ষিণ ভারতে ব্রাহ্মণদের কিছু জমি দেওয়া হতো, যার কর নেওয়া হতো না। এই জমিদানের ব্যবস্থাকে ব্রহ্মদেও ব্যবস্থা বলা হতো।

7. পালরাজাদের যুগে কয়েকজন বৌদ্ধ আচার্যের নাম লেখো ?

উত্তর : শান্তরক্ষিত, শান্তিদেব, দীপঙ্কর, শ্রীজ্ঞান, গোরক্ষনাথ ও কাহ্নপাদ প্রমুখ ছিলেন পালযুগের বৌদ্ধ আচার্যগণ।

8. বিক্রমশীল মহাবিহার কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর : পালরাজা ধর্মপাল

9. অষ্টম শতাব্দীতে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বৌদ্ধকেন্দ্রের নাম কী ছিল ?

উত্তর : ইন্দোনেশিয়ার বোরো- বোদুরের বৌদ্ধমন্দির।

10.  চিকিৎসা সংগ্রহ গ্রন্থটি কে রচনা করেন ?

উত্তর : পালযুগের বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী চক্রপানি দত্ত

11. বাংলার লোকেরা কাদের কাছ থেকে আলু খেতে শিখেছে ?

উত্তর : পোর্তুগিজদের কাছ থেকে ।

12. কে, কোথা থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করেন ?

উত্তর : আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করেন।

13. চর্যাপদগুলি কোন্ সময়ে রচিত হয় ?

উত্তর : খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে।

14. ‘সদক্তি কর্ণামৃত’ গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন?

উত্তর : শ্রীধর দাস।

15. ‘গীতগোবিন্দম’ কাব্য কে রচনা করেন?

উত্তর : লক্ষণসেনের সভাকবি জয়দেব।

16. “পবনদূত কাব্য কে রচনা করেন?

উত্তর : কবি ধোয়ী।

17. বল্লালসেন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখো ?

উত্তর : দানসাগর ও অদ্ভুতসাগর

18. কম্বোডিয়ার কোন্ ঘটনা নিয়ে নৃত্য-সংগীত খুব জনপ্রিয় ছিল ?

উত্তর : রামায়ণের ঘটনাবলী নিয়ে।

19. আজকের বাঙালির খাদ্যতালিকার কোন্ প্রধান উপাদান পাল ও সেন যুগে ছিল না ?

উত্তর : আজকের খাদ্যতালিকার প্রধান উপাদান ডাল পাল ও সেন যুগের খাদ্য তালিকায় ছিল না।

20. রামচরিত কাব্য কে রচনা করেন ?

উত্তর : সন্ধ্যাকর নন্দী রামচরিত কাব্য রচনা করেন ।

21. পাল ও সেন যুগে বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি কী ছিল ?

উত্তর : পাল ও সেন যুগে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যই ছিল বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি।

22. পাল ও সেন যুগের কোন্ কোন্ পশু বাংলার বাইরে থেকে এসেছিল ?

উত্তর : ঘোড়া এবং উট বাংলার বাইরে থেকে এসেছিল।

23. পালযুগের শিল্পরীতিকে কী বলা হয় ?

উত্তর : পালযুগের শিল্পরীতিকে প্রাচ্য শিল্পরীতি বলা হয়।

24. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় বৌদ্ধস্তূপ পাওয়া গেছে ?

উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় ভরতপুর গ্রামে বৌদ্ধস্তূপ পাওয়া গেছে।

25. ‘ব্রাক্ষ্মণসর্বস্ব’ বইটি কে লিখেছিলেন ?

উত্তর : লক্ষণসেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষয়ে ‘ব্রাহ্মণসর্বস্ব’ নামে বইটি লিখেছিলেন।

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

1. উর’ ও ‘নাড়ু’ কী ?

উত্তর : দক্ষিণ ভারতে চোল শাসন ব্যবস্থায় রাজ্যের প্রধান ছিলেন রাজা। এই শাসনব্যবস্থায় রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশ বা মণ্ডলমে ভাগ করা হয়েছিল। কৃষকদের বসতিকে ঘিরে ওঠা গ্রামকে শাসন করত গ্রাম পরিষদ বা ‘উর’। এইরকম কয়েকটি গ্রামকে নিয়ে গঠিত হতো ‘নাড়ু’। উর ও নাড়ু – এই দুই স্থানীয় সভা স্বায়ত্বশাসন, বিচার ও রাজস্ব সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করত।

2. চর্যাপদ কারা রচনা করেন?

উত্তর : পাল যুগের শেষ দিকে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা স্থানীয় ভাষায় চর্যাপদ রচনা করেন। এই সিদ্ধাচার্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- লুইপাদ, সরহপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ।

3. পালযুগে কীভাবে প্রাচীন বাংলা ভাষার জন্ম হয় ?

উত্তর : বাংলা ভাষার উৎপত্তির সময়কাল হল পালযুগ। পালযুগে আনুমানিক 800 থেকে 1100 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মাগধী অপভ্রংশ ভাষার গৌড়বঙ্গীয় রূপ থেকে ধীরে ধীরে প্রাচীন বাংলা ভাষার জন্ম হয়।

4.  সিদ্ধাচার্য কাদের বলা হতো ?

উত্তর : পালযুগে মহাযান বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে অন্যান্য দার্শনিক চিন্তাধারা মিলে গিয়ে বজ্রযান বা তান্ত্রিক বৌদ্ধমতের জন্ম হয়। এই মতের নেতাদের সিদ্ধাচার্য বলা হতো।

5.  নির্বাণ কী ?

উত্তর :  বৌদ্ধধর্ম মতে নির্বাণ হলো মুক্তি, যা লাভ করলে মানুষকে বারবার জন্মাতে হয় না। অশ্বঘোষ এর মতে জীবনে ক্লেশ বা দুঃখের অবসান হলে চিরতরে মুক্তি বা নির্বাণ মেলে।

6. স্তুপ কী ?

উত্তর : প্রাচীন ভারতে বৌদ্ধ ও জৈনরা স্তূপ নির্মাণ করতেন। এও একধরনের মন্দির স্থাপত্য। প্রথমে স্তুপগুলি দেখতে ছিল গোলাকার পরে তা দেখতে অনেকটা মোচার খোলার মতো শঙ্কু আকৃতির হয়ে পড়ে।

7. পালযুগের শিল্পরীতিকে কী বলা হয় ? এগুলির মধ্যে কী কী প্রধান ছিল ?

উত্তর : পালযুগের শিল্পরীতিকে প্রাচ্য শিল্পরীতি বলা হয়। এই রীতি এসেছে গুপ্তযুগের শিল্পকলা থেকে। পাল আমলের প্রধান স্থাপত্যের মধ্যে ছিল স্তূপ, বিহার এবং মন্দির।

8. ধীমান ও বীটপাল কে ছিলেন ?

উত্তর : পাল যুগে খ্রিস্টীয় অষ্টম ও নবম শতকে বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের দুই প্রসিদ্ধ শিল্পী ছিলেন ধীমান ও তাঁর ছেলে বীটপাল। তাঁরা ভাস্কর্য, চিত্রশিল্প ও ধাতব শিল্পে বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।

9. পাল ও সেন যুগের শিল্প সম্পর্কে যা জানো লেখো ?

উত্তর : পাল ও সেন যুগে বাংলায় শিল্পদ্রব্যের মধ্যে প্রধান ছিল বস্ত্রশিল্প, ধাতুশিল্প ও কাষ্ঠশিল্প। কার্পাস বস্ত্র ছিল প্রধান সামগ্রী। দেশে ও বিদেশে বাংলার সুক্ষ্ম সুতির কাপড়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। হস্তশিল্পের মধ্যে ধাতু এবং কাঠের তৈরি দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস ও গয়নার কথা জানা যায়। ঘর-বাড়ি, মন্দির, পালকি, গোরুর গাড়ি, নৌকা ইত্যাদি তৈরিতে কাঠের ব্যাপক ব্যবহার ছিল। এ থেকে বোঝা যায় যে পাল ও সেন যুগের কাষ্ঠ শিল্পীরা সমাজে বিশেষ গুরুত্ব পেতেন। শিল্পীরা বিশেষ নিগম বা গোষ্ঠীতে সঙ্ঘবদ্ধ ছিলেন।

10. বিহার কী? সোমপুরী বিহারের বিবরণ দাও ?

উত্তর : বিহারগুলি ছিল বৌদ্ধভিক্ষুদের বাসস্থান এবং বৌদ্ধজ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুরী বিহারটি ছিল পাল আমলের একটি উল্লেখযোগ্য বিহার। চারকোনা এই মন্দিরে ছিল গর্ভগৃহ, প্রদক্ষিণ পথ, মন্ডপ, সুউচ্চ স্তম্ভ প্রভৃতি। মন্দির নির্মাণে স্থানীয় পোড়ামাটির ইট ও কাদার গাঁথুনি ব্যবহার করা হয়েছিল।

11. কর সংগ্রহ কাকে বলে? এখন কী কী ভাবে কর সংগ্রহ করা হয় ?

উত্তর : কর অর্থাৎ রাজস্ব, খাজনা, শুল্ক, ট্যাক্স ইত্যাদি। যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করেন, ব্যবসা করেন তিনি ওই জায়গার বিশিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁর মনোনীত ব্যক্তি যিনি ওই জায়গার পরিদর্শক তাকে অর্থ, ফসল বা অন্য কিছু প্রদান করাকে কর সংগ্রহ বলে। বর্তমানে সরকার মনোনীত ব্যক্তি বা সংস্থা কর সংগ্রহ করেন। বর্তমানে জলকর, পথকর, আয়কর, রাজকর, ব্যবসাকর ইত্যাদি সরকারি দপ্তরে সংগ্রহ করা হয়। আবার পঞ্চায়েতে মনোনীত ব্যক্তি বাড়ি বাড়ি গিয়েও কর সংগ্রহ করে থাকেন।

12. সামন্তব্যবস্থা কাকে বলে ?

উত্তর : সামন্ত ব্যবস্থায় সবার উপরে থাকেন রাজা। তার নীচে থাকতেন অল্প কিছু মহাসামন্ত এবং এদের নীচে ছিলেন বেশ কিছু সামন্ত বা মাঝারি শাসক। সবচেয়ে নীচে ছিলেন জনগণ। রাজস্ব ও শাসনের অধিকার এইভাবে স্তরে স্তরে ভাগ হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাকে সামন্তব্যবস্থা বলে।

13. দক্ষিণ ভারতের কৃষিকার্যে জলসেচ ব্যবস্থা কীরূপ ছিল?

উত্তর : দক্ষিণ ভারতের চোলরা কৃষির উন্নতির জন্যে সেচব্যবস্থার প্রতি নজর দিয়েছিলেন। চোল রাজারা তামিলনাড়ু অঞ্চলে কাবেরী এবং তার শাখা নদীগুলি থেকে খাল কেটে সেচব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছিলেন। সেখানে নদী থেকে সেচের সুযোগ কম ছিল সেখানে পুকুর, বিল কেটে বৃষ্টির জল ধরে রেখে সেচের কাজ করা হত। কোথাও কোথাও কুয়ো খুঁড়েও সেচের ব্যবস্থা করা হয়।

14. দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের একমুখী সম্পর্ক ছিল বলা যায় কি ?

উত্তর : না, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্ক একমুখী ছিল এটা ভাবা উচিত নয়। ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি একে অপরের থেকে অনেক কিছু গ্রহণ করেছিল। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি থেকে শিখেছিল পানপাতা অন্যান্য বেশ কিছু ফসল কীভাবে ফলাতে হয় তার কৌশল। অপরদিকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, নৃত্য-সংগীত, রামায়ণ ও মহাভারতের বিভিন্ন গল্প গাথা বিষয়ে শিক্ষালাভ করেছিল।

15. দক্ষিণ ভারতে মন্দিরকে কেন্দ্র করে লোকালয় গড়ে উঠত কেন?

উত্তর : দক্ষিণ ভারতের রাজশক্তিগুলি বহু মন্দির তৈরি করেছিলেন। এই মন্দিরগুলিকে ঘিরে লোকালয় গড়ে ওঠার কারণ ছিল-মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন যেমন পুরোহিত, রাঁধুনি, মালাকার, গায়ক, নর্তক নর্তকী প্রমুখ মন্দির চত্বরেই বাস – করত। মন্দির কর্তৃপক্ষকে রাজা, ব্যবসায়ী ও অভিজাতরা নিষ্কর জমি দান করতেন। সেই জমির ফসল মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের জীবনযাত্রার জন্যে ব্যয় হত।

16. পাল ও সেন যুগে বাংলার রাজস্বব্যবস্থা কীরূপ ছিল ?

উত্তর : পাল ও সেন যুগে বাংলার রাজস্বব্যবস্থা থেকে বিভিন্ন কর আদায় করতেন। কৃষি থেকে উৎপন্ন ফসলের এক ষষ্ঠাংশ রাজারা কৃষকদের থেকে কর নিতেন। ব্যবসাবাণিজ্য করার জন্যও তারা বণিকদের থেকে কর নিতেন। এছাড়াও কিছু অতিরিক্ত কর ছিল। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে প্রজারা রাজাকে কর দিত। সমগ্র গ্রামের উপরেও গ্রামবাসীদের কর দিতে হত। এছাড়া হাট ও খেয়াঘাটের উপরেও কর আদায় করা হত।

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

সংক্ষেপে (৩০ – ৫০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

1. দক্ষিণ ভারতে খ্রিস্টীয় নবম থেকে একাদশ শতকের মধ্যে বাণিজ্যের উন্নতি কেন ঘটেছিল ?

উত্তর : দক্ষিণ ভারতে নবম থেকে একাদশ শতকের মধ্যে বাণিজ্যের উন্নতি লক্ষ করা যায়। বিভিন্ন রচনা থেকে জানা যায় যে, চেট্টি বা বণিকরা পণ্য সাজিয়ে যাতায়াত করতেন। বিভিন্ন বণিক সংগঠন বা সমবায়ের কথাও জানা যায়। ওই সংগঠনগুলি বিভিন্ন মন্দিরকে জমি দান করতেন সেরকম বর্ণনা দক্ষিণ ভারতে তাম্রলেখগুলিতে পাওয়া যায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চোলদের ক্ষমতা বাড়ায় সেখানকার বাণিজ্যের উপর ভারতীয় বণিকদের প্রভাব আস্তে আস্তে বেড়েছিল। দক্ষিণ ভারতের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ ও বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলার জন্যে ‘নগরম’ নামের একটি পরিষদ তৈরি হয়েছিল। রাজা ও প্রশাসন বণিকদের ব্যবসায় উৎসাহিত করতেন।

2. পাল ও সেন যুগে বাংলায় কি কি ফসল উৎপন্ন হতো? সেই ফসলগুলির কোন কোনটি এখনও চাষ করা হয়?

উত্তর : পাল ও সেন যুগে বাংলার প্রধান প্রধান ফসলগুলি ছিল ধান, সরষে ও নানারকমের ফল যেমন আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, ডুমুর, খেজুর, নারকেল প্রভৃতি। আজকের বাঙালির খাদ্যতালিকায় ডাল একটি প্রধান উপাদান। অথচ, সে-যুগের শস্যের মধ্যে ডালের উল্লেখ পাওয়া যায় না। এ ছাড়া কার্পাস বা তুলো, পান, সুপুরি, এলাচ, মহুয়া ইত্যাদিও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হত। এ ছাড়া নানা ধরনের শাকসবজি সে-যুগে উৎপন্ন হত যেমন বেগুন, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, কাঁকরোল, কচু ইত্যাদি। কারণ এইগুলি প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালির খাবারে জায়গা করে নিয়েছিল। সেই ফসলগুলির মধ্যে ধান, সর্ষে, কার্পাস, পান, আম, কলা, বেগুন, লাউ, কুমড়ো, আখ এখনও চাষ করা হয়

3. রাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভার সাহিত্যচর্চার পরিচয় দাও।

উত্তর : সেন যুগে লক্ষ্মণসেনের রাজকবি কবি জয়দেব ছিলেন সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যিক। তাঁর লেখা ‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্যের বিষয় ছিল রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা। লক্ষ্মণসেনের রাজসভার আর এক কবি ধোয়ী লিখেছিলেন ‘পবনদূত’ কাব্য। এ যুগের আরও তিনজন কবি হলেন গোবর্ধন, উমাপতিধর ও শরণ। এই পাঁচজন কবি একসাথে লক্ষ্মণসেনের রাজসভার পঞ্চরত্ন ছিলেন। এ ছাড়া রাজা লক্ষ্মণসেন নিজে স্মৃতিশাস্ত্র লিখেছিলেন। লক্ষ্মণসেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষয়ে ‘ব্রাহ্মণসর্বস্ব’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। অভিধানপ্রণেতা সর্বানন্দ এবং গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিদ শ্রীনিবাস ছিলেন সেন যুগের অপর দুজন লেখক।

4. পাল শাসনের তুলনায় সেন শাসন কেন বাংলায় কম দিন স্থায়ী হয়েছিল ?

উত্তর : চারশো বছরেরও বেশি স্থায়ী পাল শাসন বাংলার সমাজে যেভাবে শেকড় গেড়েছিল একশো বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী সেন শাসন তা পারেনি। গোপাল যখন রাজা হলেন তখন তাঁর পিছনে জনসমর্থন ছিল। বিজয় সেন সেভাবে কোনো জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেননি। পাল শাসকরা যেভাবে বাংলার সমাজে নিজেদের শাসনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পেরেছিলেন, সেন শাসকরা তা পারেননি। শিক্ষা-দীক্ষায়, ধর্মচর্চায়, শিল্পকলায় পাল যুগের থেকে সেন শাসন অনেক পিছিয়ে ছিল।

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

বিশদে (১০০-১২০ শব্দের মধ্যে) উত্তর লেখো :

1. ভারতের সামন্ত ব্যবস্থার ছবি আঁকতে গেলে, কেন তা একখানা ত্রিভুজের মতো দেখায়? এই ব্যবস্থায় সামন্তরা কীভাবে জীবিকানির্বাহ করত?

উত্তর : ত্রিভুজের সবচেয়ে নীচে চওড়া হবার অর্থ ছিল নীচে থাকত জনগণ। তাদের ওপরে বেশকিছু সামন্ত বা মাঝারি শাসক। মাঝারি শাসকদের উপরে অল্প কিছু মহাসামত্ত। আর সবার উপরে থাকতেন রাজা। এইভাবে সমাজে ত্রিভুজাকৃতি আকারে স্তরবিন্যাস হয়েছিল।সামন্তরা কেউ পরিশ্রম করে উৎপাদন করতেন না। অন্যের শ্রমে উৎপন্ন দ্রব্য বা রাজত্ব থেকে নিজেরা জীবিকা চালাতেন। মহাসামন্ত, সামন্তদের মধ্যে সর্বদা যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে থাকত। সবাই চাইত নিজের ক্ষমতা আরও বাড়াতে। কখনো-কখনো এরা জোট বেঁধে রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামত। দখল করা গ্রাম থেকে রাজত্ব আদায়ের পাশাপাশি, গ্রামের শাসন ও বিচারও করত এরা। রাজার ক্ষমতাকেও এরা অনেক সময় অস্বীকার করত। এদের দাপটে গ্রামগুলির স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাও নষ্ট হয়।

2. পাল ও সেন যুগের বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা করো ?

উত্তর : পাল ও সেন যুগে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যই ছিল বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি। তবে এই যুগে বাংলার অর্থনীতিতে বাণিজ্যের গুরুত্ব ক্রমশই কমে এসেছিল। এর কারণ ছিল- ভারতের পশ্চিম দিকের সাগরে আরব বণিকদের দাপটের ফলে বাংলার বণিকেরা পিছু হটেছিল। বৈদেশিক বাণিজ্যে বাংলার অর্থনীতি কৃষিনির্ভর হয়ে পড়েছিল। বাণিজ্যের অবনতির সঙ্গে মুদ্রা ব্যবস্থার যোগ ছিল। পাল সেন যুগের বাংলায় সোনা-রূপোর মুদ্রার ব্যবহার খুব কমে যায়। কড়িই হয়ে উঠেছিল জিনিস কেনাবেচার প্রধান মাধ্যম।

ব্যবসা বাণিজ্যের অবনতির ফলে কৃষির গুরুত্ব বেড়েছিল। কৃষকদের উৎপন্ন ফসলের এক ষষ্ঠাংশ (১/৬ ভাগ) কর দিতে হত। এই সময়ের কৃষিনির্ভর সমাজে ভূমিদানের অনেক নিদর্শন আছে। সে আমলে লেখগুলি থেকে জানা যায় যে জমি কেনাবেচার সময় কৃষককেও তার খবর দিতে হত। সুতরাং সমাজে কৃষককে অবহেলা করা হত না। তবে জমিতে মূল অধিকার ছিল রাষ্ট্র বা রাজার। এ যুগের প্রধান ফসলগুলি ছিল ধান, সরষে, আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, নারকেল, প্রভৃতি ফল। এছাড়া কার্পাস, পান, সুপারি, এলাচ ও মহুয়া প্রচুর পরিমানে উৎপন্ন হত।

3. পাল ও সেন যুগে সমাজ ও ধর্মের পরিচয় দাও।

উত্তর : পাল ও সেন যুগে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যই ছিল বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এই সময় কৃষিনির্ভর সমাজে ভূমিদানের অনেক নিদর্শন আছে। পাল যুগে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজারা ভূমি দান করতেন। সেন যুগে অনেক ব্রাহ্মণকে ভূমি দান করা হয়েছে। পাল রাজারা ব্রাক্ষ্মণ ছিলেন না, সম্ভবত ক্ষত্রিয় বা কায়স্থ ছিলেন। পরে তারা বৌদ্ধধর্মের অনুরাগী হয়ে উঠেছিলেন। পাল যুগের বাংলায় ও বিহারে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণদের থেকে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব নে বেশি পড়েছিল।

4. পাল আমলের বাংলার শিল্প ও স্থাপত্যের কী পরিচয় পাওয়া যায় তা লেখো ?

উত্তর : পাল সম্রাট ধর্মপাল খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে মগধের উত্তরভাগে গঙ্গার তীরে আধুনিক ভাগলপুর শহরে। কাছে বিক্রমশীল মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তী পাঁচশো বছর এটি টিকে ছিল। পাল যুগের শিল্পরীতিকে প্রাচ্য শিশ্বরীতি বলা হয়। এই রীতির পূর্বসূরি ছিল গুপ্তযুগের শিল্পকলা। পাল আমলের স্থাপত্যের মধ্যে ছিল স্তূপ, বিহার ও মন্দির পাল আমলে তৈরি স্তূপগুলো শিখরের মতো দেখতে ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা জেলার আসরফপুর খালে, রাজধাহীন পাহাড়পুরে, চট্টগ্রামে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ভরতপুর গ্রামে বৌদ্ধ স্তূপ পাওয়া গেছে। তবে স্তূপ নির্মাণে বাংলায় কোনো মৌলিক ভাবনার বিকাশ লক্ষ করা যায়নি। পাহাড়পুরে সোমপুরী বিহার ছিল পাল আমলের উল্লেখযোগ্য বিহার। মন্দিরের মধ্যে সোমপুরী বিহারের মন্দির ছিল উল্লেখযোগ্য।

পাল আমলের ভাস্কর্যগুলো ওই আমলের শিল্পের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ। পাহাড়পুর প্রত্নক্ষেত্রে এর সবচেয়ে ভালো নিদর্শন পাওয়া যায়। পাল যুগে অষ্টম-নবম শতকে বরেন্দ্রভূমির ধীমান ও তাঁর পুত্র বীটপাল ছিলেন প্রসিদ্ধ শিল্পী । তাঁরা ধাতব শিল্পে, ভাস্কর্য ও চিত্রশিল্পে বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর :

1. পাল যুগের বৌদ্ধধর্মমতের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো ?

উত্তর : পাল রাজারা সম্ভবত ক্ষত্রিয় বা কায়স্থ ছিলেন। তাঁরা বৌদ্ধধর্মের অনুরাগী হয়ে উঠেছিলেন। শশাঙ্কের আমলের বৌদ্ধধর্মের থেকে পালযুগের বৌদ্ধধর্ম ছিল অনেকটাই আলাদা। পালযুগে মহাযান বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে অন্যান্য দার্শনিক চিন্তাধারা মিলে গিয়ে বজ্রযান বা তান্ত্রিক বৌদ্ধমতের জন্ম হয়েছিল। এই মতের নেতারা সিদ্ধাচার্য নামে পরিচিত ছিলেন। এছাড়াও সে সময় সহজযান, কালচক্রযান নামে আরো দুটি ধর্মমতের জন্ম হয়েছিল।

ব্রাহ্মণ্য গোঁড়ামির বাইরে এই মতবাদগুলিতে সাধারণ মানুষ উদার ধর্মীয় পথের খোঁজ পেয়েছিল। এই ধর্মীয় ভাবনাগুলিতে সেভাবে দেবদেবীর স্বীকৃতি বা মন্ত্র, পুজো বা আচার অনুষ্ঠানের গুরুত্ব ছিল না। এই মতে বিশ্বাসীরা গুরু এবং শিষ্যের মধ্যে গভীর যোগাযোগে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁরা বিশ্বাস করতেন জ্ঞান মানুষের ভিতরেই থাকে যা কোনো শাস্ত্রেই বই পড়ে অর্জন করা যায় না। তাঁরা বলতেন পরিষ্কার মন এবং আত্মার শুদ্ধি হলেই মানুষ নির্বাণ বা চিরমুক্তি লাভ করতে পারে। এই সিদ্ধাচার্যরা তাঁদের মত প্রকাশ করতেন স্থানীয় ভাষায় এবং এই ভাষায় তাঁরা চর্যাপদ লেখা শুরু করেন। এভাবে তাঁদের হাত ধরেই আদি বাংলা ভাষার বিকাশও ঘটে।

2. সেন যুগের ধর্মীয় জীবনের বর্ণনা দাও ?

উত্তর : পাল যুগের মতো সেন যুগে বৌদ্ধধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটেনি। সেন রাজারা ব্রাহ্মণ্য ধর্মকেই প্রাধাণ্য দিতেন। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের মধ্যে বৈদিক ধর্ম ও পৌরাণিক ধর্ম এই দুইয়েরই মিশ্রণ ঘটে। এই যুগে ইন্দ্র, অগ্নি, সূর্য, কুবের, বৃহস্পতি, গঙ্গা, যমুনা, মাতৃকা, শিব ও বিষ্ণুর পূজা করা হতো। সেন রাজারা ছিলেন শৈব তবে লক্ষ্মণসেন বৈষ্ণব ছিলেন বলে জানা যায়।

এই যুগে বৌদ্ধধর্মের অস্তিত্ব থাকলেও আগেকার যুগের মতো সুযোগসুবিধা তারা পেত না। সমাজপতি হিসেবে ব্রাক্ষ্মণরাই সুবিধা ভোগ করতেন। ব্রাহ্মণদের মধ্যে একাধিক উপবিভাগ ছিল। অব্রাহ্মণদের সবাইকে ‘সংকর’ বা শূদ্র হিসেবে ধরা হতো। সেন যুগের ব্রাক্ষ্মণ্যধর্মী অনুশাসন ছিল কঠোর। ব্রাহ্মণরা অব্রাহ্মণদের কাজ করতে পারলেও, অব্রাহ্মণরা ব্রাক্ষ্মণদের কাজগুলি করতে পারত না।

3. খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে ভারতবর্ষের কীরূপ বিচিত্র সংস্কৃতির আদানপ্রদান ঘটেছিল ?

উত্তর : খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে বহু বিভিন্ন সংস্কৃতির লেনদেন ও সংঘাত ভারতবর্ষে দেখা যায়। আবার ভারতীয় সংস্কৃতির বহু নমুনা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, তিব্বত এবং চিন প্রভৃতি অঞ্চলে পাওয়া য়ায়। এথেকে বোঝা যায় যে বহু সংস্কৃতির মিলনে ভারতের বৈচিত্র্যময় জীবনযাপন গড়ে উঠেছিল যা প্রয়োজনে বদলও ঘটেছিল। এর ফলে আজও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আজও নানান বৈচিত্র্যময় স্থানীয় মানুষজন দেখা যায়।

ইসলামীয় সংস্কৃতি ভারতে আসার ফলে ভারতের জ্ঞানচর্চার লাভ সবচেয়ে বেশি হয়েছিল। সমাজ, সংস্কৃতি এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এই দুই সংস্কৃতির মেলামেশার ছাপ পড়েছিল। এই বোঝাপড়া একমুখী ছিল না উভয় উভয়কেই প্রভাবিত করেছিল। আবার কখনোও বা সংঘাতও বেধেছিল। তবে অনেকদিনের মেলামেশায় আস্তে আস্তে দুটি ধারাই মিশে যায়।

4. পাল যুগের ভাস্কর্য সম্পর্কে যা জান লেখো ?

উত্তর : পাল যুগে শিল্পের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ ছিল সেই যুগের ভাস্কর্য গুলি। পাল যুগের শ্রেষ্ঠ ভাস্কর ছিলেন ধীমান ও তাঁর পুত্র বীটপাল। পাহাড়পুর প্রত্নক্ষেত্রে শিল্পের অসাধারণ নিদর্শন দেখা যায় এখানকার মূল মন্দিরের গায়ে পাথরের ফলকে। এতে স্থানীয় রীতির প্রভাব স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়। এই ফলকগুলিতে রাধা, কৃষ্ণ, যমুনা, বলরাম, শিব, বুদ্ধ অবলোকিতশ্বরের মূর্তি আছে। এই দেবদেবীরদের মধ্যে ব্রাহ্মণ ঐতিহ্যের প্রভাব অনেক বেশি। এ থেকে অনুমান করা যায় পাল রাজারা নিজে বৌদ্ধ হলেও বৌদ্ধ এবং ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি উভয়েরই পৃষ্ঠপোষণা করতেন। পালযুগের ভাস্কর্যের মধ্যে পোড়ামাটির শিল্প সামগ্রী পাওয়া যায় যা ছিল স্থানীয় লোকায়ত শিল্পের প্রতীক। এগুলিতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখদুঃখ, সমাজজীবন, ধর্মবিশ্বাস ইত্যাদি ফুটে উঠেছে।

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ও উত্তর :

১. শূন্যস্থান পূরণ করো :

ক. নদনদীপূর্ণ বাংলার আরেকটি বড়ো সম্পদ ছিল  ―――।

খ. শিল্পদ্রব্যের মধ্যে――― বস্ত্র ছিল প্রধান সামগ্রী ।

গ. আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী――― থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করেন।

ঘ. পাহাড়পুরে――― বিহার ছিল পাল আমলের উল্লেখযোগ্য বিহার।

ঙ. সেন রাজাদের মধ্যে লক্ষ্মণসেন ছিলেন――― ধর্মে বিশ্বাসী।

চ. পালযুগে――― রা সমাজপতি হিসাবে সুবিধা ভোগ করত।

ছ. আজকে বাঙালির খাদ্যতালিকায়――― একটি প্রধান উপাদান।

উত্তর :  (ক) মাছ (খ) কার্পাস (গ) নেপাল (ঘ) সোমপুরী (ঙ). বৈষ্ণব (চ) ব্রাক্ষ্মণ (ছ) ডাল

আরও পড়ুন :

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম  অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ‍্যায় প্রশ্ন উত্তর 

1 thought on “সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 7th History Third Chapter Question Answers”

Leave a Comment