সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 7th Geography Second Chapter Question Answers

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 7th Geography Second Chapter Question Answers

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর- Class 7th Geography Second Chapter Question Answers : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর গুলি নিয়ে। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন‍্য ভূপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় অধ‍্যায়ের প্রশ্ন উত্তর গুলি হলো।

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

1. দ্রাঘিমাংশ কাকে বলে ?

উত্তর : মূলমধ্যরেখার পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে দ্রাঘিমাংশ বলে।

2. অক্ষাংশ কাকে বলে ?

উত্তর : নিরক্ষরেখার উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ওই স্থানের অক্ষাংশ বলে।

3. অক্ষরেখা কাকে বলে ?

উত্তর : নিরক্ষরেখার সমান্তরালে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টনকারী আড়াআড়ি কাল্পনিক রেখাগুলিকে অক্ষরেখা বলে।

4. দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে ?

উত্তর : মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে ও পশ্চিমে উত্তর মেরুবিন্দু থেকে দক্ষিণ মেরুবিন্দু পর্যন্ত অঙ্কিত লম্বালম্বি অধবৃত্তাকার রেখাগুলি হল দ্রাঘিমারেখা।

5. কতগুলি অক্ষরেখা রয়েছে ?

উত্তর : 0° থেকে উত্তরে ও দক্ষিণে 90° পর্যন্ত মোট 180 টি অক্ষরেখা আছে।

6. দ্রাঘিমারেখার সংখ্যা ক-টি ?

উত্তর : পৃথিবীকে বেষ্টন করে মোট 360টি দ্রাঘিমারেখা আছে।

7. মূলমধ্যরেখার বিপরীতে দ্রাঘিমারেখাকে কী বলে ?

উত্তর : মূলমধ্যরেখার বিপরীতে দ্রাঘিমারেখাকে 180° দ্রাঘিমারেখা বলে।

8. মূলমধ্যরেখাকে কোন্ স্থানের ওপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে ?

উত্তর : মূল মধ্যরেখাকে গ্রেটার লন্ডনের রয়্যাল গ্রিনিচ নামক স্থানের ওপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে।

9. নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলা হয় কেন ?

উত্তর : পৃথিবীর অক্ষরেখাগুলির মধ্যে নিরক্ষরেখার ব্যাস সবচেয়ে বেশি। তাই একে মহাবৃত্ত বলা হয়।

10. পৃথিবীর 15° কোণ ঘুরতে কত সময় লাগে ?

উত্তর : পৃথিবীর 15° কোণ ঘুরতে 1 ঘণ্টা সময় লাগে।

11. পৃথিবীর পরিধির কৌণিক মান কত ?

উত্তর : 360° হল পৃথিবীর পরিধির কৌণিক মান।

12. 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য কত হয় ?

উত্তর : 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 4 মিনিট।

13. উত্তর অক্ষরেখা কোনগুলি ?

উত্তর : নিরক্ষরেখার উত্তরের অক্ষরেখাগুলো হলো উত্তর অক্ষরেখা।

14. দক্ষিণ অক্ষরেখা কোন্গুলি ?

উত্তর : নিরক্ষরেখার দক্ষিণের অক্ষরেখাগুলো হল দক্ষিণ অক্ষরেখা।

15. কোন্ রেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ভাগ করেছে ?

উত্তর : নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দুটি সমান অংশে ভাগ করেছে।

16. পৃথিবীকে দুটি সমানভাবে কীভাবে ভাগ করা হয়েছে ?

উত্তর : মূলমধ্যরেখা ও দ্রাঘিমারেখা মিলিতভাবে যে পূর্ণবৃত্তটি তৈরি করে সেটি পৃথিবীকে দুটি সমানভাগে ভাগ করেছে।

17. GMT কী?

উত্তর : GMT হল Greenwich Mean Time বা গ্রিনিচের প্রমাণ সময়।

18. ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমার মান কত ?

উত্তর : 82°30 পূর্ব।

19. কলকাতার দ্রাঘিমারেখার মান কত ?

উত্তর : 82°30 পূর্ব।

20. ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমানার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কত ?

উত্তর : প্রায় 1 ঘণ্টা 15 মিনিট।

21. পূর্ব দ্রাঘিমা কী ?

উত্তর : মূলমধ্যরেখার পূর্বের দ্রাঘিমা হল পূর্ব দ্রাঘিমা।

22. পশ্চিম দ্রাঘিমা কী ?

উত্তর : মূলমধ্যরেখার পশ্চিমের দ্রাঘিমারেখা হল পশ্চিম দ্রাঘিমা।

23. কৌণিক দূরত্ব কাকে বলে ?

উত্তর : কোনো স্থান এবং নিরক্ষরেখা বা মূলমধ্যরেখা পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে ওই স্থানের কৌণিক দূরত্ব বলে।

24. পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম অংশকে কি বলা হয় ?

উত্তর : পৃথিবীর পূর্বের অংশ পূর্ব গোলার্ধ ও পশ্চিমের অংশকে পশ্চিম গোলার্ধ বলে।

25. অক্ষরেখা দ্বারা কীভাবে অবস্থান বোঝানো থাকে ?

উত্তর : কলকাতা অবস্থান করছে 22°34 উত্তর অক্ষরেখার ওপর। এ থেকে বলা যায় কলকাতার অবস্থান 22°:34 ।

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

1. ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান কীভাবে নির্ণয় করা যাবে ?

উত্তর : পৃথিবীর উপর অবস্থিত কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করতে গেলে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার অবস্থান দেখতে হবে। ভূপৃষ্ঠের ওপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর ছেদ করে ভূপৃষ্ঠের ওপর একটি জালের সৃষ্টি করেছে একে বলা হয় ভৌগোলিক গোলক। এই ছেদবিন্দুর অবস্থান দেখে ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।

2. অক্ষরেখার পরিচয় দাও ?

উত্তর : নিরক্ষরেখার সমান্তরালে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত কল্পিত রেখাগুলো হল অক্ষরেখা। i. অক্ষরেখাগুলিও পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত এবং এগুলি পরস্পর সমান্তরাল। অক্ষরেখাগুলি প্রতিটিই পূর্ণবৃত্ত। অক্ষরেখাগুলির সর্বনিম্ন মান 0° এবং সর্ব্বোচ্চ মান 90°ii. অক্ষরেখার পরিধি মেরুর দিকে ক্রমশ ছোটো হতে থাকে। iii. অক্ষরেখার মান মেরুর দিকে বেড়ে যায়। iv. একই অক্ষরেখার মধ্যে অবস্থিত স্থানগুলিতে একই সাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয় না। v. অক্ষরেখার মান মেরুর দিকে বাড়তে থাকে। vi. একই অক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানগুলিতে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য সমান ও তাপমাত্রার পরিমাণও একই থাকে। অক্ষরেখার মধ্যে নিরক্ষরেখা সর্বচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 90° উঃ এবং 90° দঃ হল যথাক্রমে উত্তর মেরু বিন্দু ও এবং দক্ষিণ মেরু বিন্দু।

3. মূলমধ্যরেখা কাকে বলে ?

উত্তর : ভূ-গোলকে 0° দ্রাঘিমারেখাটিকে মূলমধ্যরেখা বলা হয়। এই রেখাটিকে লন্ডনের গ্রিনিচ মানমন্দিরের উপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে। অর্ধবৃত্তাকার এই রেখাটি উত্তরে সুমেরু থেকে দক্ষিণে কুমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রতিটি অক্ষরেখাকে মূলমধ্যরেখা প্রায় লম্বভাবে ছেদ করেছে। মূলমধ্যরেখার স্থানীয় সময়কে সারা পৃথিবীর প্রমাণ সময় ধরা হয়।

4. স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময় কাকে বলে ?

উত্তর : কোনো জায়গায় যখন সূর্য ঠিক মাথার ওপর ওঠে তখন সেই সময় অনুসারে সেখানে দিনের অন্যান্য সময় নির্ণয় করা হয়। দ্রাঘিমা অনুযায়ী কোনো স্থানের সময় নির্ণয় করাকে সেই স্থানের স্থানীয় সময় (Local time) বলে।

কোনো দেশের ওপর দিয়ে যখন একাধিক দ্রাঘিমারেখা বিস্তৃত হয় তখন কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের দ্রাঘিমারেখাকে প্রমাণ সময় ধরে ওই দেশের সময়ের ব্যবধানের অসুবিধা দূর করা হয়। একেই প্রমাণ সময় ‘বলে। ভারতের ক্ষেত্রে এই অসুবিধা এড়াবার জন্য ঠিক মাঝ বরাবর 82°30 পূর্ব দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কে সারা ভারতের প্রমাণ সময় (Indian standard time) ধরা হয়েছে।

5. প্রমাণ সময়ের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে লেখো ?

উত্তর : একটা দেশের একটাই সময় ঠিক না করলে নানারকম অসুবিধা দেখা দেয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন স্থানীয় সময় অনুযায়ী পোস্ট অফিস, রেল, বেতার প্রভৃতি স্থানের কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তাই তার জন্য প্রমাণ সময় হিসাবে কোনো স্থানের স্থানীয় সময়কে ধরে নেওয়া হয়। ভারতের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে এলাহাবাদের কাছে অবস্থিত 82°30 পূর্ব দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে ভারতের প্রমাণ সময় হিসেবে ধরা হয়।

6. GPS কী ?

উত্তর : GPS বা Global Positioning System (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) হল পৃথিবীর কোনো জায়গার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা জানার অত্যাধুনিক পদ্ধতি। পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকরী হয়। বর্তমানে জাহাজে, বিমানে, আধুনিক গাড়ি মোবাইল ফোনে GPS থাকে।

7. গ্রিনিচের পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের মধ্যে পার্থক্য কী ?

উত্তর : গ্রিনিচের পূর্বে অবস্থিত কোনো স্থানের সময় গ্রিনিচ অপেক্ষা বেশি হয়। প্রতি 1° দ্রাঘিমা বৃদ্ধির সাথে সময় 4 মিনিট বেড়ে যায়। পশ্চিমে অবস্থিত কোনো স্থানের সময় গ্রিনিচ অপেক্ষা কম হয়। প্রতি 1° দ্রাঘিমা পশ্চিমে বৃদ্ধির সাথে সময় 4 মিনিট করে কমে যায়।

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর :

1. 1 ঘণ্টায় পৃথিবী কত ডিগ্রি কোণ বা দ্রাঘিমা ঘোরে ? 1° ডিগ্রি দ্রাঘিমা ঘুরতে পৃথিবীর কত সময় লাগবে ?

উত্তর : একটি বৃত্তের মোট কোণের পরিমাণ 360°। গোলাকার পৃথিবী আবর্তনের সময় 360° কোণ ঘুরে আসে। এতে সময় লাগে 24 ঘন্টা। সুতরাং 1 ঘণ্টায় পৃথিবী ঘোরে 360° ÷ 24 = 15° কোণ বা দ্রাঘিমা 15° । 1° দ্রাঘিমা ঘুরে আসতে পৃথিবীর সময় লাগবে 1 ঘণ্টা = 60 মিনিট ÷ 15° = 4 মিনিট।

2. অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার প্রয়োজনীয়তাগুলি আলোচনা করো ?

উত্তর : নিরক্ষরেখার দুদিকে কল্পিত বৃত্তাকার এবং পরস্পর সমান্তরাল রেখাগুলিকে অক্ষরেখা বলে। অক্ষরেখার প্রয়োজনীয়তাগুলি হল- i. কোনো স্থানের প্রকৃত অবস্থান জানতে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থান নিরক্ষরেখার কতটা উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত তা অক্ষরেখার সাহায্যে জানা যায়। ii. কোনো স্থানের অক্ষাংশও অক্ষরেখার সাহায্যে জানা যায়। iii. অক্ষরেখার মাধ্যমে জলবায়ুর তারতম্যের কথা জানা যায়। সর্বনিম্ন অক্ষাংশতে 0° তে সূর্য সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং মধ্য অক্ষাংশ থেকে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে ক্রমশ সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়ে। ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চলে উষ্ণতা বেশি এবং মেরুর দিকে উষ্ণতা কমতে থাকে। এই উন্নতার তারতম্যের ফলে পৃথিবীতে তিনটি তাপবলয় তথা তিনটি জলবায়ু অঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।

পৃথিবীতে দ্রাঘিমারেখার প্রয়োজনীয়তাগুলি হল –
i. কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ে অর্থাৎ কোনো স্থান মূলমধ্যরেখা থেকে কতটা পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থান করছে তা জানতে সাহায্য করে দ্রাঘিমারেখা।
ii. পৃথিবীর কোনো ক্ষুদ্র স্থান বা অঞ্চলের ওপর দিয়ে কল্পিত দ্রাঘিমারেখা সেখানকার স্থানীয় সময় নির্ণয়ে সাহায্য করে।
iii.  পৃথিবীর যে সমস্ত অঞ্চলের ওপর দিয়ে একাধিক দ্রাঘিমা কল্পনা করা হয়েছে সেখানে একটি বিশেষ দ্রাঘিমাকে প্রমাণ ধরে অঞ্চলটির প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়।
iv. একমাত্র 180° দ্রাঘিমারেখা পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধের তারিখ নির্ণয় ও বিভাজনে সাহায্য করে।

3. পৃথিবীর ওপর কোনো স্থানের অবস্থান কীভাবে নির্ণয় করা যাবে ?

উত্তর : গোলীয় পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করতে পূর্ব পশ্চিমে বিস্তৃত অক্ষরেখা ও উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত দ্রাঘিমারেখার সাহায্য নেওয়া হয়ে থাকে। অবস্থিত স্থানটি নিরক্ষরেখা থেকে কতটা উত্তর বা কতটা দক্ষিণে অবস্থিত তা অক্ষরেখার মান দ্বারা জানা যায় এবং মূলমধ্যরেখা থেকে স্থানটি কতটা পূর্বে বা কতটা পশ্চিমে অবস্থান করছে তা দ্রাঘিমারেখার মান থেকে জানা যায়। যেমন কলকাতা 22°34 উত্তর অক্ষরেখা এবং 88°30 পূর্ব দ্রাঘিমারেখার ছেদবিন্দুতে অবস্থিত এটি জানতে আমরা অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্য নিয়ে বলতে পারছি।

4. কোনো জায়গার অক্ষাংশ কীভাবে নির্ণয় করা যায় তা চিত্র সহ বুঝিয়ে দাও ?

উত্তর : কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করতে একটি কাচ বা প্লাস্টিকের স্বচ্ছ বল নাও। মনে করো A হল সেই স্থান যার অক্ষাংশ নির্ণয় করতে হবে। O ওই বলটি তথা পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু। এখন A স্থানটি থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র O বিন্দু পর্যন্ত একটি ব্যাসার্ধ টানতে হবে। অন্যদিকে, স্থানটি যেন দ্রাঘিমারেখায় রয়েছে সেই দ্রাঘিমারেখা ও নিরক্ষরেখা ছেদবিন্দু B থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত আর একটি ব্যাসার্ধ BO টানতে হবে। এই AO এবং BO ব্যাসার্ধ পৃথিবীর কেন্দ্রে একটি 80° কোণ AOB তৈরি করে। সেই কোণই ওই স্থানের অক্ষাংশ। এই পদ্ধতিতে পৃথিবীপৃষ্ঠের ওপর যেকোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা হয়।

5. দ্রাঘিমা কীভাবে নির্ণয় করা যায় ?

উত্তর : দ্রাঘিমা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেখা হল মূলমধ্যরেখা। ভূ-গোলকে মূলমধ্যরেখা থেকে একটি সরলরেখা পৃথিবীর কেন্দ্রে (C বিন্দু) পর্যন্ত টানা হয়েছে। গোলকে নামক স্থানটি যে দ্রাঘিমায় অবস্থিত সেখান থেকে অপর একটি সরলরেখা কেন্দ্র পর্যন্ত টানা আছে। এই দুই সরলরেখা পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোণ (<RCP) তৈরি করেছে সেটাই হল দ্রাঘিমা। ধরে নাও তার মান 60°। অতএব স্থানটির দ্রাঘিমা হবে 60° পশ্চিম।

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর :

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

1. শূন্যস্থান পূরণ করো :

i. 0° অক্ষরেখা――― নামে পরিচিত।

ii. মূলমধ্যরেখা লন্ডনের――― নামক স্থানের ওপর দিয়ে টানা
হয়েছে।

iii. পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধে ভাগ করে―――রেখা।

iv. অক্ষরেখাগুলি হল――।

v. পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুকে যুক্ত করেছে――― রেখা।

vi. 1° দ্রাঘিমা ঘুরতে সময় লাগে―――।

vii. সূর্যরশ্মি মেরুর দিকে ক্রমশ――― ভাবে পড়ে।

viii. পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মহাবৃত্ত হল―――।

ix. দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর――― নয়।

x. নিরক্ষরেখা থেকে――― মান গণনা করা হয়।

xi. ―――হল পৃথিবীর ছোটো প্রতিরূপ।

xii. অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার পারস্পরিক――― দিয়েই ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ধারিত হয়।

উত্তর : (i) নির(রেখা। (ii) রয়াল গ্রিনিচ। (iii) মূলমধ্যরেখা। (iv) পূর্ণবৃত্ত। (v) দ্রাঘিমা। (vi) 4 মিনিট। (vii) তির্যক (viii) নিরক্ষরেখা। (ix) সমান্তরাল। (x) অক্ষাংশের। (xi) গ্লোব। (xii) ছেদবিন্দু।

2. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :

i. ভারতের প্রমাণ সময় ধরা হয় (82°30/84°30/88°30) দ্রাঘিমার সময়কে।

ii. দ্রাঘিমারেখাগুলো পরস্পর (সমান্তরাল/অসমান্তরাল/পূর্ণবৃত্ত)।

iii. মোট দ্রাঘিমারেখার সংখ্যা (179/180/360)টি।

iv. মূলমধ্যরেখা থেকে যদি পূর্বে যাওয়া হয় তবে সময় (একই থাকবে/এগিয়ে যাবে/পিছিয়ে যাবে)।

v. উত্তর মেরুর অক্ষাংশ হল (90° উঃ/90° দঃ/61° উঃ)।

vi. পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো অক্ষরেখা হল (নিরক্ষরেখা/কর্কটক্রান্তি রেখা/ মূলমধ্যরেখা)। মান হল (90°/180° / 360°)।

vii. মহারাষ্ট্রের নাসিকের অক্ষাংশ (24° দঃ /24° উঃ / 20° উঃ)।

viii. মূলমধ্যরেখার বিপরীতে অবস্থিত দ্রাঘিমারেখার মান হল (90°/180° / 360°)।

ix. নিরক্ষরেখার অপর নাম (বিষুবরেখা/সমাক্ষরেখা/মূলমধ্যরেখা)।

x. 1 ঘণ্টায় পৃথিবী ঘোরে (24/15/20°)।

xi. কলকাতার অবস্থান (20°34 উত্তর / 20°34 দক্ষিণ)।

উত্তর : (i) 82°30। (ii) অসমান্তরাল। (iii) 360টি। (iv) এগিয়ে যাবে। (v) 90° উঃ। (vi) নিরক্ষরেখা। (vii) 20° উঃ। (viii) 180 | (ix) বিষুবরেখা। (x) 15° (xi) 22°34 উঃ।

আরও পড়ুন :

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ‍্যায় প্রশ্ন উত্তর 

Leave a Comment