আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা কাকে বলে ? আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকার উৎপত্তি

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

 

আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা কাকে বলে ? আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকার উৎপত্তি

আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা কাকে বলে : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা কাকে বলে এবং আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকার উৎপত্তি সম্পর্কে।

আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা কাকে বলে :

কোনো অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে মাটি সৃষ্টির উপাদানগুলির তারতম্য দেখা দিলে উপাদানগুলি পুনরায় মাটি গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং নতুন ধরনের মাটি সৃষ্টি করে। অঞ্চলের মধ্যে স্থানীয়ভাবে এ ধরনের মাটি গড়ে ওঠায় একে আন্তঃআঞ্চলিক মাটি  বলা হয়।

আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকার উৎপত্তি :

বিভিন্নভাবে আন্তঃআঞ্চলিক মাটির সৃষ্টি হয়। উৎপত্তি অনুযায়ী এ জাতীয় মাটিগুলি হল-

1. জলাভূমির মাটি : বিভিন্ন রকমের জলিভূমিতে অবায়ুজীবী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা জৈব পদার্থ বিয়োজিত হয়ে যে কালচে রঙের মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়, তাকে জলাভূমির মৃত্তিকা বলে। উদাহরণ – পিট বা বগ মৃত্তিকা।

2. চুনময় মৃত্তিকা : শিলাতে চুন বা চুনজাতীয় পদার্থের প্রাধান্য থাকলে চুনময় মৃত্তিকা গড়ে ওঠে। যেমন- চুনাপাথর বা চক শিলা থেকে উৎপন্ন রেনজিনা মৃত্তিকা। এই মৃত্তিকা সাদা, ধূসর ও বাদামি বর্ণের হয়।

3. লবণাক্ত মৃত্তিকা : মাটির উপরিভাগে লবণের সঞ্চয় ঘটলে লবণাক্ত মৃত্তিকা গড়ে উঠে। শুষ্ক ও শুষ্কপ্রায় অঞ্চলে কম বৃষ্টিপাতের জন্য ধৌত প্রক্রিয়া কম হয়। এর ফলে লবণের সঞ্চয় ঘটে। আবার বাষ্পীভবন বেশি হওয়ায় কৈশিক প্রক্রিয়ায় দ্রবীভূত লবণ ওপরে উঠে আসে। এভাবে লবণাক্ত মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়। এই প্রকার মাটি ক্ষারধর্মী হয়। সোলানচাক ও সোলনেৎজ এই মাটির উদাহরণ।

আরও পড়ুন : 

মৃত্তিকা ক্ষয় কাকে বলে ? মৃত্তিকা ক্ষয়ের পদ্ধতি

Leave a Comment