কোল বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

কোল বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য

সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম কোল বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য গুলি সম্পর্কে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত আলোচনাটি।

কোল বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য :

ভূমিকা :

ইংরেজ সরকার ব্রিটিশদের মিত্র বহিরাগত জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে ছোটোনাগপুর অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসী কোলরা 1831-32 সালে শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে। সেটাই কোল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। কোল বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য গুলি হল-

1. আদিবাসী বিদ্রোহ : কোল বিদ্রোহে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল আদিবাসী কোলরা । তাদের সঙ্গে নিম্নবর্ণের অন্যান্য চাষি , কামার , কুমোর প্রভৃতি মানুষও যোগদান করে।

2. ঐক্যবদ্ধতা : বিদ্রোহ চলাকালীন আদিবাসী কোলরা ইংরেজ শাসক জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেছিল।

3. অরণ্যের দখল : কোলদের বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে অরণ্য সম্পদের ওপর কোলদের চিরাচরিত অধিকার রক্ষার দাবি জোরালো হয়ে উঠেছিল।

4. ব্রিটিশ বিরোধিতা : কোল বিদ্রোহীদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইংরেজ ও বহিরাগত জমিদার । চার্লস মেটকাফ – এর মতে , ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটানোই বিদ্রোহীদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।

5. বিদ্রোহের আগাম বার্তা : বিদ্রোহী কোলরা নাকাড়া বাজিয়ে , আমগাছের শাখা বা যুদ্ধের তির বিলি করে নিজেদের মধ্যে বিদ্রোহের বার্তা ছড়িয়ে দিত।

6. সহযোগিতার বিশেষ অভাব : কোল বিদ্রোহের প্রতি শহুরে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতার অভাব লক্ষ করা গিয়েছিল।

মূল‍্যায়ন :

শহুরে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের সমর্থন ও সহযোগিতা না পেলেও কোলরা যেভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংঘটিত করে তাতে ইংরেজরা আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। চার্লস মেটাকাফ স্বীকার করেছেন বিদ্রোহী কোলদের উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটানো।

আরও পড়ুন : কোল বিদ্রোহের কারণ 

Leave a Comment