বিরসা মুন্ডা কে ছিলেন

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

বিরসা মুন্ডা কে ছিলেন

বিরসা মুন্ডা কে ছিলেন : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম বিরসা মুন্ডা সম্পর্কে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিরসা মুন্ডা সম্পর্কিত বিস্তৃত আলোচনাটি।

বিরসা মুন্ডা কে ছিলেন :

ভূমিকা : 18991900 খ্রিস্টাব্দে ছোটোনাগপুর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায় শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে । বিরসা মুন্ডা ছিলেন এই বিদ্রোহের প্রধান নেতা।

প্রথম জীবন : বিরসা মুন্ডা 1875 খ্রিস্টাব্দে রাঁচি জেলার উলিহাত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতা সুগান মুন্ডা ছিলেন একজন বর্গাচাষি । বিরসা বাল্যকালে খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে পড়াশোনা করেন।

ধর্মপ্রচার : বিরসা 1895 খ্রিস্টাব্দে এক নতুন ধর্মমত প্রচার করেন । তিনি নিজেকে অবতার বলে ঘোষণা করেন এবং দাবি করেন যে , তিনি ভগবানের দর্শন পেয়েছেন । তিনি মহাপ্লাবনের ভবিষ্যদ্বাণী করেন । তিনি মুন্ডা সমাজের প্রচলিত কুসংস্কারের বিরোধিতা করেন , পশুবলি বন্ধ এবং মাদক বর্জন করার কথা বলেন । তিনি মুন্ডাদের উপবীত ধারণ করতে বলেন।

প্রথম আন্দোলন : 1893-94 সাল নাগাদ সরকারি বনবিভাগ মুন্ডা গ্রামের পতিত জমি অধিগ্রহণ করতে শুরু করলে বিরসা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন।

বিদ্রোহের সূচনা : বিরসা 1899 সাল নাগাদ মুন্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করে সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করনে । ২৪ ডিসেম্বর (1899 খ্রি ) বিদ্রোহের দিন ঠিক হয়।

বিদ্রোহের প্রসার : 1900 সালের জানুয়ারি মাসে বিরসার নেতৃত্বে বিদ্রোহ প্রবল আকার ধারণ করে । বিদ্রোহীরা সরকারি অফিস , থানা , ইংরেজ পুলিশ ও কর্মচারীদের আক্রমণ করতে থাকে।

মৃত্যু : প্রবল বিক্রমে লড়াই করেও বিরসা – র বাহিনী শেষপর্যন্ত ব্রিটিশবাহিনীর কাছে পরাজিত হয় । বিরসাকে রাঁচি জেলে বন্দি করা হয় । সেখানে কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে 1900 খ্রিস্টাব্দে মাত্র 25 বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।

মূল‍্যায়ন : মুন্ডা সমাজে বিরসা মুন্ডা ছিলেন ত্রাতাস্বরূপ । তাঁর অসামান্য প্রতিভা মাত্র একুশ বছর বয়সেই তাঁকে মুন্ডাদের নেতৃত্বের আসনে বসিয়েছিল।

আরও পড়ুন : 

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ, ফলাফল, বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি

ভিল বিদ্রোহের কারণ

কোল বিদ্রোহের কারণ 

Leave a Comment