বাংলা গানের ধারায় শচীন দেব বর্মনের অবদান : সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম বাংলা গানের ধারায় শচীন দেব বর্মনের অবদান সম্পর্কে। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আলোচনাটি।
বাংলা গানের ধারায় শচীন দেব বর্মনের অবদান :
আধুনিক বাংলা গানের ইতিহাসে শচীন দেববর্মনের অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি আধুনিক বাংলা গানে ও সিনেমার গানে সুর ও কণ্ঠের যে মাধুর্য, বৈচিত্র্য ও ব্যাপ্তি রেখে গিয়েছেন তা অতুলনীয়। তাঁর কৃতিত্ব বাংলা আধুনিক গান ও চলচ্চিত্রের গান ছাড়াও লোকসংগীত এবং রাগপ্রধান গানের ধারায় বিস্তারলাভ করেছে এবং এই ধারাগুলিকে সমৃদ্ধ করেছে।
শচীন দেববর্মন নানা সময়ে সংগীত শিক্ষা নিয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, খলিফা বাদল খাঁ এবং ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ প্রমুখ এর কাছে। তিনি কাজী নজরুল ইসলামেরও সান্নিধ্যলাভ করেছিলেন। 1935 খ্রিস্টাব্দে নির্মিত ‘সুদূরের প্রিয়ে’ সিনেমায় তিনি প্রথম সংগীত নির্দেশকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এরপর একে একে ‘যখের ধন’ , ‘অমরগীতি’ , ‘ছদ্মবেশী’ , ‘অভয়ার বিয়ে’ , ‘মাটির ঘর’ , ‘কলঙ্কিনী’ , ‘দেবদাস’ , ‘চৈতালি’ প্রভৃতি ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন।
নিজের কণ্ঠে গাওয়া শচীন দেববর্মনের গানগুলি অসাধারণ কৃতিত্ব জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। তাঁর স্বকণ্ঠে গাওয়া গানগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য – ‘বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে’ , ‘মন দিলো না বঁধু’ , ‘বিরহ বড়ো ভাল লাগে’ , ‘আমি টাকডুম টাকডুম বাজাই’ ইত্যাদি।
সংগীতে শচীন দেববর্মনের অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য তিনি 1969 খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মশ্রী’ উপাধি পান। এ ছাড়া সারাজীবনে তিনি যেসব পুরস্কারলাভ করেছেন সেগুলো হল ‘সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার’ ( 1958 খ্রিঃ), ‘এশিয়া ফিল্ম সোসাইটি পুরস্কার’ ( 1958 খ্রিঃ )। তিনি সেরা গায়ক এবং সেরা সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান যথাক্রমে 1970 খ্রিস্টাব্দে এবং 1974 খ্রিস্টাব্দে।
1 thought on “বাংলা গানের ধারায় শচীন দেব বর্মনের অবদান”