বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা কর

টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা কর

সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পর্বটিতে শেয়ার করলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীর উদ্যোগ সম্পর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী উদ্যোগ সম্পর্কে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত আলোচনাটি।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় :

ভূমিকা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (1817- 1905 খ্রি.) নিভৃতে ধর্মচর্চা করার উদ্দেশ্যে বীরভূম জেলার বোলপুরের নিকটবর্তী ভুবনডাঙ্গায় 1863 খ্রিস্টাব্দে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভুবনডাঙ্গার নতুন নাম দেন ‘ শান্তিনিকেতন ‘। দেবেন্দ্রনাথ 1892 খ্রিস্টাব্দে এখানে উপাসনা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

1. ব্রহ্ণবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1901 খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে একটি ব্রাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম 5 জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়ের পথচলা শুরু হয়। এখানে প্রাথমিক ও সেকেন্ডারি শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়।

2. শিক্ষাপদ্ধতি : ব্রহ্মবিদ্যালয়ে আশ্রমিক গুরুকুল পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়। প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকে এবং ছাত্র শিক্ষকের ব্যবধান দূর করে শিক্ষাদান করাই ছিল ব্রহ্মবিদ্যালয়ের শিক্ষানীতির মূলকথা। এখানে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে কোনো দূরত্ব থাকত না।

3. বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভাবনা : পাঠভবনের প্রবর্তিত শিক্ষানীতিতে একটি উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ উদ্যোগ নেন। তিনি 1919 খ্রিস্টাব্দ থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা ভাবতে শুরু করেন, যার নাম হয় ‘ বিশ্বভারতী ’।

4. বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : অবশেষে রবীন্দ্রনাথ বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের সন্নিকটে শান্তিনিকেতনে 1921 খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে কলাবিদ্যার পাশাপাশি অর্থশাস্ত্র, কৃষিতত্ত্ব, স্বাস্থ্যবিদ্যা, পল্লি উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ব্যাবহারিক শিক্ষার পাঠদান শুরু হয়।

5. পর্যটন শিল্পকেন্দ্র : রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে নিজের এবং অন্যান্য আশ্রমিকদের বসবাসের জন্য সুন্দর সুন্দর বাড়ি তৈরি করান। পরবর্তীকালে আশ্রমবাসী শিল্পী ও ভাস্করদের বিভিন্ন সৃষ্টিকর্মের দ্বারা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সুসজ্জিত হয়ে একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়।

6. কেন্দ্রীয় মর্যাদা : ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরবর্তীকালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় 1951 খ্রিস্টাব্দে ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে।

মূল‍্যায়ন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হয়েছিলেন। তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বধর্ম ও বিশ্বসংস্কৃতির মেলবন্ধন তৈরি করতে চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

1 thought on “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা কর”

Leave a Comment